জুমবাংলা ডেস্ক : রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে একমাত্র রূপালী ব্যাংক পিএলসির মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রয়েছে। শিওরক্যাশ নামে ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল এ সেবা চালু করে ব্যাংকটি। শিগগিরই নিজস্ব ব্র্যান্ডে নতুন নামে আরও বড় পরিসরে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করছে ব্যাংকটি। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ব্যাংকের বর্তমান অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের সময়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার জিয়াদুল ইসলাম। সাক্ষাৎকারটির বিস্তারিত হুবহু তুলে ধরা হলো-
প্রতিবেদক: রূপালী ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর ইতিহাস বলবেন। বর্তমানে আপনাদের গ্রাহক কত?
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর : মেসার্স প্রগতি সিস্টেমের সেবা শিওরক্যাশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে রূপালী ব্যাংক। এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ব্যাংকের ৯৮৩তম সভায় প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবিত মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদিত হয়। বর্তমানে এ সেবার আওতায় আমাদের প্রায় ৭১ লাখ গ্রাহক রয়েছে।
প্রতিবেদক : রূপালী ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকরা বর্তমানে কী কী সেবা পাচ্ছে? আগামীতে নতুন কোনো সেবা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে কিনা?
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর : রূপালী ব্যাংকের ব্যবহারকারীরা বর্তমানে ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ, মার্চেন্ট পেমেন্ট ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পেমেন্ট দিতে পারেন। অন্যদিকে এর মাধ্যমে সারাদেশে বৃত্তি, ভাতা বিতরণ, ভর্তুকি প্রদানের মতো সেবাও দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে নতুন সফটওয়্যারের মাধ্যম বৃহৎ পরিসরে এ সেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। তখন আরও নানাবিধ সেবা যুক্ত করা হবে।
প্রতিবেদক : বর্তমানে দৈনিক ও মাসিক লেনদেন কেমন? আপনাদের গ্রাহকরা কোন ধরনের লেনদেন বেশি করেন?
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর : বর্তমানে দৈনিক প্রায় ১ লাখ ও মাসিক প্রায় কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পেমেন্ট এবং জিটুপি সেবা কার্যক্রমের লেনদেন বেশি হয়। যেমন : প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি, এইএসপি, পিএসপি ইত্যাদি।
প্রতিবেদক : ডিজিটাল লেনদেনে প্রায়ই প্রতারণা ও জালিয়াতির কথা শোনা যায়। এ ক্ষেত্রে আপনাদের সেবার লেনদেন কতটা নিরাপদ?
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর : আমাদের সেবা যথেষ্ট নিরাপদ। আমরা গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ এবং কনফারেন্স ঠিকমতো মেনটেইন করে লেনদেন সম্পন্ন করি।
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর : আমরা সবসময় প্রতিযোগিতামূলক সেবা সুনিশ্চিত করেছি। বর্তমানে আমরা নিজস্ব ব্র্যান্ডের নতুন সফটওয়্যার নিয়ে বাজারে আসছি। ফলে আগামীতে বিভিন্ন সুবিধাসহ চার্জও সহনশীল রাখব। আমরা সরকারি ব্যাংক, তাই আমাদের লক্ষ্য যত কম খরচে সম্ভব গ্রাহকদের সেবা দেওয়া। মুনাফা নয় বরং মানুষের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছাতে আমরা কাজ করছি। সেবার মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করলে মুনাফা এমনিতেই আসবে। গত বছর আমরা রেকর্ড ৭০০ কোটি টাকা অর্থাৎ ৭ গুণ মুনাফা প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি শুধু গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে।
প্রতিবেদক : আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে মোবাইল ব্যাংকিং কতটা ভূমিকা রাখছে? আগামীতে এ সেবায় কী ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখছেন?
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর : আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে মোবাইল ব্যাংকিং বিরাট ভূমিকা রাখছে। আর এ কারণে ক্যাশলেস সমাজ গঠন এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকল্পনার স্বার্থে আমরা নিজস্ব ব্র্যান্ডে বিস্তৃত পরিসরে এমএফএস কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছি। তখন আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে আমরা আরও ভূমিকা রাখতে পারব বলে আশা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।