স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য সম্মানজনক বেতন কাঠামোর সুপারিশ করবে জাতীয় বেতন কমিশন। এ বিষয়ে কমিশনের সবাই ইতিবাচক বলে জানা গেছে। জাতীয় বেতন কমিশনের একটি সূত্র জানায়, কমিশনের সব সদস্য একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামত নিয়েছেন। স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের মতামত নেওয়ার সময় স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। এ সংক্রান্ত মতামত কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির খানের কাছে জমা দিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা।

কমিশনের একজন সদস্য বলেন, ‘স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো কেবল বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজন বিষয়টি এমন নয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষক, প্রাথমিকসহ সমগ্র শিক্ষা সেক্টরের বেতন স্বতন্ত্র কাঠামোতে আনার ব্যাপারে কমিশনের সবাই ইতিবাচক।
তবে টাকার জোগাড় কিভাবে হবে তা নিয়ে সদস্যরা সন্দিহান। এ বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করে একটা উপায় বের করা যেতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো রয়েছে।
আমাদের স্কুল পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতন অনেক কম। বিশেষ করে বেসরকারি পর্যায়ে। বিষয়গুলো বিবেচনা করে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো প্রণয়নের সুপারিশ করা হতে পারে। আলাদা বেতন কাঠামোর সুপারিশ করা সম্ভব না হলেও তাদের সম্মানজনক বেতনের সুপারিশ করবে কমিশন।’
এদিকে কমিশনকে নতুন পে স্কেলের জন্য সুপারিশ জমা দিতে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা।
তবে ওই সময়ের মধ্যে সুপারিশ দাখিল করতে পারেনি কমিশন। এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। সমাবেশ থেকে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন পে স্কেলের জন্য গেজেট প্রকাশ করে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে গেজেট প্রকাশ না হলে আগামী ১৭ ডিসেম্বর কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে কর্মচারী সংগঠনগুলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



