অর্থনীতি ডেস্ক : বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে নতুন বছরের শুরুর দিকেই। এনিয়ে মাসখানেক আগে গণশুনানি শেষ করেছে বিইআরসি। শুনানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২০২০ সালে সাড়ে ৮ হাজার কোটির বেশি টাকা ঘাটতির কথা তুলে ধরে দাম বৃদ্ধি চায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, উৎপাদন ব্যয় মেটাতে নতুন বছরে বিদ্যুৎখাতে ভর্তুকি ছাড়াবে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। তাই দাম বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। তবে ভোক্তা সংগঠন ক্যাবের হিসাবে, অব্যবস্থাপনা আর সরকারি কোম্পানিগুলোর লাভ বাদ দিলে প্রতি বছর সাশ্রয় করা সম্ভব অন্তত সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা।
কিন্তু সম্প্রতি ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব বলছে, বিদ্যুৎ খাতে বছরে অন্তত সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। তাদের গবেষণায়, অলস বসে থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাবদ ২ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা দেয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এছাড়া সঞ্চালন ও বিতরণ পর্যায়ে বিভিন্ন সংস্থা খরচ বাড়িয়ে দেখিয়েছে বলেও তুলে ধরে ক্যাব।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুৎখাতভুক্ত সকল সংস্থা ও ইউটিলিটিকে দুর্নীতিমুক্ত ও ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রনয়নের লক্ষ্যে বিআরসি কর্তৃক অনুমোদন এবং উন্মুক্ত দরপত্র আহবানের মাধ্যমে সকল ক্রয় নিশ্চিত করতে হবে।
এই মুহুর্তে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২০ হাজার মেগাওয়াট। যা গ্রীষ্মকালের চাহিদার চেয়েও প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।