বার্সেলোনার ইতিহাসের সঙ্গে তারুণ্যের সংযোগটা বেশ অনেক আগে থেকেই। হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে বার্সেলোনাও ২০২৪ সালে আলোচনায় এসেছিল সেই তরুণ ফুটবলারদের সুবাদেই। দুঃসময়ের বেড়াজাল থেকে বার্সার স্বস্তিটাও মিলল তাদেরই সুবাদে। পাবলো গাভি এবং লামিনে ইয়ামালের গোলে নতুন বছরে প্রথম ম্যাচে জয় পেল বার্সা। আর পৌঁছে গেল স্প্যানিশ সুপারকাপের ফাইনালে।
প্রতিপক্ষ ছিল আতলেটিক বিলবাও। সৌদি আরবের রিয়াদে কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়নদের পাত্তাই দেয়নি বার্সা। ম্যাচের স্কোরলাইন ২-০ হলেও ব্যবধান হতে পারতো আরও বড়। দুই অর্ধে একটি করে গোল করেছে তারা। দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ ও মায়োর্কার মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষে রোববার শিরোপা লড়াইয়ে নামবে ব্লুগ্রানারা ।
কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে শুরুতে বিলবাওকে পঞ্চম মিনিটেই ভড়কে দেয় বার্সা। ১০ মিনিটের মধ্যেই দুবার সুযোগ পান ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনিয়া। ৫ মিনিটে বল পেয়ে সেটা মেরেছেন পোস্টের বাইরে দিয়ে। তিন মিনিট পর এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের ফ্রি-কিক ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক উনাই সিমোন। তবে টানা ভালো খেলার সুফলও পেয়েছে তারা।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় তারা। পেদ্রির পাস বক্সে রিসিভ করেন আলেহান্দ্রো বালদে। তার কাট-ব্যাক থেকে ফার্স্ট টাইম শটে বল জালে জড়ান গাভি। খানিক পরেই ২৪তম মিনিটে ডাবল সেভে ব্যবধান বাড়তে দেননি সিমোন। রাফিনিয়ার এবং ইয়ামালের শট পরপর ঠেকিয়ে দেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধে গোর্কো এবং ইনাকি উইলিয়ামসের দুই প্রচেষ্টাও ছিল ব্যর্থ। বিরতির পর ৫২ মিনিটে সেই গাভির পাস থেকেই গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন লামিনে ইয়ামাল।
ম্যাচে বার্সার আধিপত্য যখন নিশ্চিত এরপরেই ইয়ামাল, গাভি ও লেভানডফস্কিকে তুলে নেন বার্সেলোনা কোচ। বদলি নামানো হয়, ফের্মিন লোপেস, ফেররান তরেস ও ফ্রেংকি ডি ইয়ংকে। তাতে বার্সেলোনার খেলার গতি কমেছে আর আতলেটিকও পেয়ে যায় দুই গোল।
৮২তম মিনিটে দি মার্কোস বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। চার মিনিট পর ইনাকি উইলিয়ামস গোল করলেও তা বাতিল হয় সেই অফসাইডের বিধিতেই। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।