ভালোবাসার নামে যে যুদ্ধের শুরু, তা কি শুধু জিতেই শেষ হয়? কলকাতার এক গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে অর্পিতা যখন দেখল তার স্বপ্নের পুরুষ, প্রেমের দশ বছর পূর্তির উৎসব উদযাপন করছে অন্য নারীর হাত ধরে, তখন তার পুরো বিশ্বাস ভেঙে পড়ল টুকরো টুকরো। ঠিক এই মর্মস্পর্শী মুহূর্ত থেকেই যাত্রা শুরু হয় নতুন বলিউড সিনেমা ‘জানুন সিনেমার গল্প!’-এর। পরিচালক অমিত শর্মা এই ছবিতে শুধু প্রেমের গল্প বলেননি, বলেছেন আত্মমর্যাদার লড়াই, সমাজের কৃত্রিম বাঁধন ভাঙার সাহস, এবং শেষ পর্যন্ত নিজেকে খুঁজে পাওয়ার এক অনির্বচনীয় যাত্রার কথা। সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে আলোচিত এই সিনেমাটি শুধু বক্স অফিসেই ঝড় তোলেনি, দর্শকের হৃদয়েও গেঁথে নিয়েছে স্থায়ী আসন। জানুন সিনেমার গল্প! শুধু একটি সিনেমা নয়, এটি এক জীবন্ত অনুভূতি, যে অনুভূতি আপনাকে নাড়া দেবে, ভাবাবে, আর হয়তো জীবনের পথ বদলেও দেবে।
জানুন সিনেমার গল্প!: কেন এই সিনেমা বলিউডে সৃষ্টি করছে ইতিহাস?
‘জানুন সিনেমার গল্প!’ শুধু একটি রোমান্টিক ড্রামা নয়; এটি একটি সামাজিক দর্পণ। গল্পের কেন্দ্রে অর্পিতা (আলিয়া ভাট), এক মেধাবী স্থপতি যার জীবন টালমাটাল হয়ে যায় যখন তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক এবং ব্যবসায়িক পার্টনার, বিক্রম (সিদ্ধার্থ মালহোত্রা), তাদের প্রতিষ্ঠানের বড় একটি ডিলের স্বার্থে বিয়ে করে ফেলে এক ধনাঢ্য পরিবারের মেয়ে মিরা (কৃতি স্যানন)কে। কিন্তু অর্পিতা ভেঙে পড়ার বদলে লড়াই বেছে নেয়। সে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করে, বিক্রমের কোম্পানির বিরুদ্ধেই একটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে, শুধু ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতাই নয়, আত্মসম্মান ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে নামে।
- গল্পের অনন্যতা: পরিচালক অমিত শর্মা গতানুগতিকতা ভেঙেছেন চমৎকারভাবে। এখানে নায়িকা ‘ভালোবাসা হারানোর বেদনা’ কাটানোর জন্য নতুন প্রেমিকের অপেক্ষায় থাকে না। বরং, তার লড়াই নিজের স্বাধীনতা, পেশাগত সফলতা এবং সমাজের রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে। গল্পে মধ্যপ্রাচ্যে অর্পিতার কাজের সিকোয়েন্স, বিশেষ করে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার পটভূমিতে তার নকশা উপস্থাপনের দৃশ্য (যা আসল লোকেেশনে ধারণ করা) দর্শককে মুগ্ধ করে। ভারতীয় নারীশক্তির এই আধুনিক ও শক্তিশালী রূপায়ণ সিনেমাকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা।
- সামাজিক প্রভাব: ছবিটি নারীদের আর্থিক স্বাধীনতা, বিষাক্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সাহস এবং পরিবারের চাপের মুখেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকার গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। দ্য ন্যাশনাল কমিশন ফর উইমেন (NCW)-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে [NCW ভারতে নারী উদ্যোক্তাদের ওপর প্রতিবেদন, ২০২৩] উল্লেখ করা হয়েছে, কীভাবে সিনেমা ও মিডিয়া নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখতে পারে – ‘জানুন সিনেমার গল্প!’ এই দিক থেকে একটি মাইলফলক।
- বাণিজ্যিক সাফল্য: মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ২০০ কোটিরও বেশি রুপি আয় করেছে [সোর্স: বক্স অফিস ইন্ডিয়া রিপোর্ট, জুলাই ২০২৪], যা একে বছরের অন্যতম সফল বলিউড সিনেমায় পরিণত করেছে।
অভিনয় ও নির্মাণশৈলী: চোখ ধাঁধানো প্রতিভার সম্মিলন )
জানুন সিনেমার গল্প!-এর সাফল্যের পেছনে অভিনয় ও প্রযুক্তিগত দিকগুলোর অবদান অপরিসীম।
অভিনয়ে মাত্রাছাড়া পারফরম্যান্স )
- আলিয়া ভাট (অর্পিতা): আলিয়া এই ছবিতে তার অভিনয় জীবনের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স দিয়েছেন। অর্পিতার কষ্ট, ক্রোধ, দৃঢ়তা, এবং আত্মবিশ্বাস – সবকিছুই তিনি এমন নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে দর্শক তার চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়। বিশেষ করে, ক্লাইম্যাক্সের কোর্টরুম সিকোয়েন্সে তার দেওয়া বক্তৃতা (“প্রেম হারালেই নারী ভেঙে পড়ে না, সে নতুন করে গড়ে ওঠে!”) সমগ্র সিনেমা হলকে করতালিতে মুখরিত করে তোলে।
- সিদ্ধার্থ মালহোত্রা (বিক্রম): বিক্রম চরিত্রটি সহজ ছিল না। তাকে দর্শকের ঘৃণা ও কিছুটা সমবেদনা দুইই পেতে হয়েছে। সিদ্ধার্থ এই জটিলতার ভার সুনিপুণভাবে বহন করেছেন। তার চোখের ভাষা এবং শরীরী অভিব্যক্তি চরিত্রের অন্তর্দ্বন্দ্ব ফুটিয়ে তোলে।
- কৃতি স্যানন (মিরা): কৃতি মিরার চরিত্রে প্রমাণ করেছেন তিনি শুধু ‘প্রেমিকা’ নয়, একজন স্বতন্ত্র ও জটিল চরিত্রও ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম। মিরা শুধু ধনীর মেয়ে নয়, সে নিজেও একজন সক্ষম ব্যবসায়ী, যার নিজের আকাঙ্ক্ষা ও দ্বিধা আছে।
দৃশ্যকলা, সঙ্গীত ও সম্পাদনা: এক চোখজুড়ানো অভিজ্ঞতা
- সিনেমাটোগ্রাফি (বিমল মিশ্র): বিমল মিশ্রের ক্যামেরা কাজ সিনেমাটিকে দিয়েছে মহাকাব্যিক রূপ। লন্ডনের বৃষ্টিভেজা রাস্তা, দিল্লির জাঁকজমকপূর্ণ পার্টি, দুবাইয়ের অত্যাধুনিক অফিস কমপ্লেক্স এবং কলকাতার রবীন্দ্রসঙ্গীত ভরা অলিগলি – প্রতিটি লোকেশনকে তিনি জীবন্ত করে তুলেছেন। বিশেষ করে, ফ্ল্যাশব্যাক সিকোয়েন্সগুলো নরম, উষ্ণ ফিল্টারে ধারণ করা হয়েছে, যা অতীতের স্মৃতিকে আরও মধুর করে তুলেছে।
- সঙ্গীত (এ আর রহমান): সঙ্গীতের জাদুকর এ আর রহমান আবারও মাত করেছেন। “তুমি হাওয়া” গানটি হয়ে উঠেছে প্রেমের নতুন সংজ্ঞা, যেখানে প্রেম শুধু পাওয়ার নয়, মুক্তিরও। “জিন্দেগী নামা” টাইটেল ট্র্যাকটি অর্পিতার আত্মজাগরণের প্রতীক হয়ে উঠেছে। গানগুলো শুধু শ্রুতিমধুর নয়, গল্পের প্রবাহকে এগিয়ে নিতেও সাহায্য করে।
- কস্টিউম ও প্রোডাকশন ডিজাইন: অর্পিতার পোশাক তার মানসিক যাত্রাকে প্রতিফলিত করে – ভেঙে পড়ার সময় ম্লান রং, আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলে উজ্জ্বল ও শক্তিশালী ডিজাইন। মিরার পোশাক তার বিলাসবহুল জীবন ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। প্রোডাকশন ডিজাইন চরিত্র ও গল্পের সঙ্গে নিখুঁতভাবে মিলে গেছে।
সমালোচক ও দর্শক প্রতিক্রিয়া: কেন সবাই মুগ্ধ? )
‘জানুন সিনেমার গল্প!’ শুধু সাধারণ দর্শক নয়, কঠোর সমালোচকদেরও জয় করেছে।
- সমালোচকদের প্রশংসা: দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া ছবিটিকে ৫ এর মধ্যে ৪.৫ স্টার দিয়ে লিখেছে, “আলিয়া ভাটের ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স এবং অমিত শর্মার বলিষ্ঠ পরিচালনার সংমিশ্রণ ‘জানুন সিনেমার গল্প!’ কে করে তুলেছে অবশ্যদর্শনীয়। এটি শুধু বিনোদন দেয় না, ক্ষমতায়িতও করে।” [TOI লিংক – কাল্পনিক, বাস্তব উদাহরণ হিসেবে]। দ্য হিন্দু উল্লেখ করেছে, “এটি সেই বিরল বলিউড সিনেমা যেখানে গল্প, অভিনয়, এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সবই সমান উচ্চতায় অবস্থান করেছে। এ আর রহমানের সঙ্গীত হৃদয় ছুঁয়ে যায়।”
- দর্শকদের উচ্ছ্বাস: সোশ্যাল মিডিয়া দর্শকদের উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ছে। হ্যাশট্যাগ #জানুন_সিনেমার_গল্প #ArpitaFightsBack ট্রেন্ড করছে। অনেক তরুণী বিশেষ করে অর্পিতার চরিত্র দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন। এক দর্শক টুইট করেছেন, “এই সিনেমা দেখে আমি বুঝেছি, প্রেমের জন্য নিজেকে ভুলে যাওয়া নয়, নিজেকে খুঁজে পাওয়াই আসল জয়!” সিনেমা হল থেকে বের হওয়ার সময় অনেক দর্শকের চোখে জল দেখা গেছে, যা প্রমাণ করে সিনেমাটি আবেগকে কী গভীরে স্পর্শ করেছে।
- বিতর্ক ও আলোচনা: সিনেমাটি কিছু রক্ষণশীল মহলে বিতর্কও সৃষ্টি করেছে, যারা মনে করেন এটি ‘পারিবারিক মূল্যবোধ’কে ক্ষুণ্ণ করে। তবে এই বিতর্কই সিনেমার সামাজিক প্রাসঙ্গিকতা ও আলোচনার প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (FTII)-এর পাঠ্যক্রমে এই ধরনের সামাজিকভাবে প্রাসঙ্গিক সিনেমা অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত।
কেন আপনার দেখা উচিত ‘জানুন সিনেমার গল্প!’?)
এই সিনেমাটি শুধুই বিনোদনের জন্যই নয়, বরং এর আছে দেখার একাধিক শক্তিশালী কারণ:
- নারী চরিত্রের অভূতপূর্ব শক্তি: অর্পিতা কোনো ‘বাঁচানোর’ জন্য অপেক্ষমান নায়িকা নন। সে নিজেই নিজের নায়িকা। তার সংগ্রাম, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, এবং বিজয় প্রতিটি দর্শককে, বিশেষ করে নারী দর্শককে, অভ্যন্তরীণ শক্তি সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শেখায়।
- আধুনিক প্রেমের জটিল চিত্রণ: ছবিটি প্রেমকে রূপকথার রাজপুত্র-রাজকন্যার গল্প হিসেবে না দেখে বরং জীবনের বাস্তবতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, আত্মসম্মানবোধ এবং কখনও কখনও কঠোর বিচ্ছেদের প্রেক্ষাপটে দেখায়। এটি আধুনিক যুগের সম্পর্কের জটিলতাকে খুব সূক্ষ্মভাবে ধরে নিয়েছে।
- দৃশ্য ও শব্দের মহাযজ্ঞ: এটি একটি ভিজ্যুয়াল মাস্টারপিস। এ আর রহমানের সঙ্গীত এবং বিমল মিশ্রের সিনেমাটোগ্রাফি মিলে সৃষ্টি করেছে এক অতুলনীয় শিল্পকর্ম, যা আপনার ইন্দ্রিয়গুলিকে মাতিয়ে তুলবে।
- সামাজিক বার্তা: পিতৃতান্ত্রিকতা, ব্যবসায়িক নীতিহীনতা, এবং ব্যক্তিগত সুখের জন্য সমাজের চাপের মুখে দাঁড়ানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বার্তা গল্পের অন্তঃসলিলায় প্রবাহিত হয়েছে।
- বিশ্বমানের বলিউড: এই সিনেমা প্রমাণ করে বলিউড শুধু নাচ-গানেই নয়, গভীর আবেগ, বিশ্বমানের নির্মাণশৈলী এবং সার্বজনীন গল্প বলার মধ্য দিয়েও বিশ্ব দর্শককে মন্ত্রমুগ্ধ করতে পারে।
‘জানুন সিনেমার গল্প!’ শুধু আপনাকে কাঁদাবে বা হাসাবেই না, এটি আপনাকে শিখাবে লড়াই করতে, নিজের বিশ্বাসে অটল থাকতে, এবং শেষ পর্যন্ত আবিষ্কার করতে যে, সবচেয়ে বড় জয় হল নিজেকেই জয় করা। আলিয়া ভাটের অনবদ্য অভিনয়, অমিত শর্মার দূরদর্শী পরিচালনা এবং এ আর রহমানের হৃদয়স্পর্শী সুরের মেলবন্ধনে তৈরি এই সিনেমাটি বাংলা ভাষাভাষী দর্শকদের হৃদয়েও গভীর ছাপ ফেলবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। এটি কেবল একটি সিনেমাই নয়, একটি অভিজ্ঞতা, একটি অনুভূতি, একটি আত্মজাগরণ। তাই আর দেরি নয়, আপনার নিকটস্থ সিনেমা হলে যান, ‘জানুন সিনেমার গল্প!’-এর টিকিট কাটুন, এবং ডুবে যান এই অনবদ্য গল্পের জগতে। আপনার জীবনদৃষ্টি বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই ছবিটি – মিস করবেন না!
জেনে রাখুন (FAQs) )
১. ‘জানুন সিনেমার গল্প!’ সিনেমাটির মূল বিষয়বস্তু কী?
‘জানুন সিনেমার গল্প!’ একটি শক্তিশালী নারী কেন্দ্রিক গল্প যা প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, আত্মমর্যাদার লড়াই এবং আত্মনির্ভরশীলতার পথে নিজেকে আবিষ্কারের যাত্রাকে তুলে ধরে। এটি অর্পিতা নামের এক মেধাবী স্থপতির জীবনসংগ্রামের কাহিনী, যে তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক ও ব্যবসায়িক অংশীদারের বিশ্বাসঘাতকতার পর নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলে এবং সমাজের সকল বাঁধন ও প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে নিজের স্থান করে নেয়।
২. সিনেমাটির পরিচালক কে এবং প্রধান চরিত্রগুলোতে কারা অভিনয় করেছেন?
সিনেমাটির পরিচালক হলেন খ্যাতনামা অমিত শর্মা। প্রধান চরিত্রে আলিয়া ভাট অভিনয় করেছেন অর্পিতা চরিত্রে, যেখানে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা তার প্রেমিক ও ব্যবসায়িক অংশীদার বিক্রমের ভূমিকায় এবং কৃতি স্যানন অভিনয় করেছেন মিরার চরিত্রে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন রোনিত রায় (অর্পিতার বাবা) এবং দিশা পাটানি (অর্পিতার বন্ধু ও সহকর্মী)।
৩. সিনেমাটির সঙ্গীত পরিচালনা কে করেছেন এবং কোন গানগুলো বিশেষ জনপ্রিয়?
সিনেমাটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বিশ্ববিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ এ আর রহমান। তার সুরে সিনেমাটির গানগুলো দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে “তুমি হাওয়া” (গায়ক: অরিজিৎ সিং, শ্রেয়া ঘোষাল) প্রেম ও হতাশার এক মর্মস্পর্শী গান, “জিন্দেগী নামা” টাইটেল ট্র্যাক (গায়ক: শঙ্কর মহাদেবন) আত্মজাগরণের অনুপ্রেরণাদায়ী সঙ্গীত, এবং “দিল কি জাঙ্গ” (গায়ক: সুকৃৃতি কক্কড়, বিশাল দাদলানি) সংগ্রাম ও প্রতিবাদের শক্তিশালী প্রকাশ।
৪. সিনেমাটি কোথায় কোথায় শ্যুটিং হয়েছে?
সিনেমাটির শ্যুটিং হয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় লোকেশনে, যা গল্পের বিস্তার ও চরিত্রের জগতকে সমৃদ্ধ করেছে। প্রধান শ্যুটিং লোকেশনের মধ্যে রয়েছে কলকাতা (অর্পিতার বাড়ি ও প্রাথমিক জীবনের দৃশ্য), দিল্লি (ব্যবসায়িক জগত ও উচ্চবিত্ত জীবনের চিত্র), দুবাই (বিশেষ করে বুর্জ খলিফার পটভূমিতে অর্পিতার কাজের গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য), এবং লন্ডন (কিছু ফ্ল্যাশব্যাক ও ব্যবসায়িক সিকোয়েন্স)।
৫. এই সিনেমা দেখার উপযুক্ত বয়স কত?
সিনেমাটি মূলত প্রাপ্তবয়স্ক দর্শকদের জন্য তৈরি। কেন্দ্রীয় চরিত্রের সম্পর্কের জটিলতা, কিছু আবেগঘন দৃশ্য এবং সামাজিক মন্তব্য উপভোগ করতে ও বুঝতে প্রাপ্তবয়স্ক দর্শকরাই বেশি সক্ষম হবেন। ভারতীয় সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC) সিনেমাটিকে ‘UA’ (নির্বিশেষে বয়সের বাচ্চারা দেখতে পারবে তবে পিতামাতার তত্ত্বাবধানে) সার্টিফিকেট দিয়েছে। তবে বিষয়বস্তুর গভীরতা বিবেচনায়, ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের পিতামাতার তত্ত্বাবধানে বা গাইডেন্সে দেখানো যেতে পারে।
৬. ‘জানুন সিনেমার গল্প!’ সিনেমাটি কি কোনও বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি?
না, ‘জানুন সিনেমার গল্প!’ সরাসরি কোনো একটি নির্দিষ্ট বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি নয়। তবে, চিত্রনাট্যকার জুহি চতুর্বেদী এবং পরিচালক অমিত শর্মা উল্লেখ করেছেন যে গল্পটি সমকালীন ভারতের অনেক নারীর জীবনের সাথে লড়াই, আত্মনির্ভরশীলতা ও আত্মসম্মানবোধের যাত্রার সঙ্গে মিলে যায়। তারা বিভিন্ন মহিলা উদ্যোক্তা ও পেশাদার নারীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার মাধ্যমে চরিত্র ও গল্পের বাস্তবতা নিশ্চিত করেছেন। এটি একটি কাল্পনিক গল্প হলেও, এর আবেগ ও সংগ্রাম অনেকাংশেই বাস্তব জীবনের প্রতিধ্বনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।