জুমবাংলা ডেস্ক : সংকুচিত হচ্ছে প্রচলিত শ্রমবাজার। বন্ধ পুরনো বাজারের সাথে চলতি বছরে আরও চারটি শ্রমবাজার বন্ধের পথে বাংলাদেশিদের জন্য। আর সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবে কর্মী যাওয়ার আগ্রহ কমেছে ৫০ভাগের মত। তার ওপর প্রতিদিনেই সৌদি থেকে ফিরছেন প্রবাসীরা।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত বন্ধ ২০১২ সালের পর থেকে। এবং আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার মালয়েশিয়া কর্মী নেয়া বন্ধ করেছে গেল বছরের সেপ্টেম্বর থেকে। আর সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবে কর্মী যাওয়া কমেছে আশঙ্কাজনকহারে। এরপর নতুন করে কাতার ও মালদ্বীপ শ্রমবাজার প্রায়ই বন্ধের পথে। সংকটে রয়েছে ইরাক ও লিবিয়ার শ্রমবাজারও।
যদিও বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে ৬ নভেম্বর দুই দেশের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সেলিম রেজা বলেন, প্রচলিত শ্রমবাজারের পরিবর্তে নতুন শ্রমবাজার এর সন্ধান করছেন তারা। তিনি বলেন, আমরা এখন নতুন নতুন শ্রমবাজারে অনুসন্ধান করছি এবং আগামীতে করব। আর বর্তমানে পুরনো শ্রমবাজারগুলো সমুন্নত রাখার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি আমরা।
শ্রম অভিবাসন বিশ্লেষক হাসান আহমেদ কিরণ চৌধুরি বলেন, ‘আমরা একটা আশঙ্কার মধ্যে রয়েছি যে কেন আমাদের সংবাদ শ্রমবাজারগুলো সংকুচিত হয়ে আসছে, যে সকল শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছে অনেকদিন হলো তা আমরা খুলতে পারছিনা, পূর্বের এবং বর্তমানের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন ব্যক্তিবর্গ দুবাই শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু এখনো সেটি চালু করা সম্ভব হয়নি’। সুতরাং এগুলো রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সম্প্রতি নতুন নতুন শ্রমবাজার চালু করতে বেশ কয়েকটি দেশ সফর করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি। সিশেলস, কম্বোডিয়া, নেদারল্যান্ডস, ক্রোয়েশিয়া, চায়না, স্লোভেনিয়া, হাঙ্গেরি শ্রমবাজারে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা।
সচিব বলেন, ‘সিশেলসের সাথে আমাদের একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে যার ফলে সিশেলসের বাজারে আমাদের শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে এবং আমরা ইতিমধ্যেই কম্বোডিয়াতে লোক পাঠানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি’।
শ্রম অভিবাসন বিশ্লেষকরা বলছেন, যেসকল শ্রমবাজার চালু রয়েছে সেগুলোতে শুধুমাত্র অদক্ষ কিংবা আধাদক্ষ কর্মী প্রেরণ করে শ্রমবাজার টিকিয়ে রাখা কিংবা রেমিটেন্স বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়।
রেমিটেন্স বৃদ্ধি করতে হলে দক্ষ কর্মী প্রেরণ করতে হবে অন্যথায় রেমিটেন্স বাড়ানো সম্ভব নয়। এর ফলে প্রচলিত শ্রমবাজার সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন শ্রম অভিবাসন বিশ্লেষকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।