জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদরা নতুন জাতের আমরে খুঁজে পেয়েছে। আমটির এখনো কোনো নাম পায়নি। তবে উদ্যানতত্ত্ববিদদের আশা, সুস্বাদু জাতের আমটি শক্তিশালী জায়গা করে নেবে।
জানা যায়, আমটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিখ্যাত জাত এবং জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্য ক্ষীরশাপাতির সঙ্গে তুলনীয়। বলা চলে অসময়ের ক্ষীরশাপাতি। আমের এই জাত এসেছে ভারত থেকে ৫ বছর আগে সায়ন (চারা তৈরির উপযোগী ডগা) সংগ্রহের মাধ্যমে। বর্তমানে গাছটি রয়েছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার জইটাবটতলা এলাকায়।
হর্টিকালচার সেন্টারের সহকারী উদ্যান উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহীন সালেহ্উদ্দিন বলেন, এ আমের আঁটি খুবই পাতলা, ওজনে হালকা এবং কোনো প্রকার আঁশ নেই। এর খাওয়ার যোগ্য অংশের (পাল্প) রং গাঢ় কমলাটে। গড় মিষ্টতা ২২ টিএসএস (টোটাল সলিউবুল সুগার)। এ আমের গড় ওজন ৫০০ গ্রাম। তবে এটি ৪০০ গ্রাম থেকে প্রায় ১ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। রোগবালাইয়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে। একটি ৩ থেকে ৪ বছর বয়সী গাছে ফলন বছরে প্রায় ২০ কেজি। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফলনও বাড়বে।
আমটির চাষাবাদ শুরু করা মাইনুল ইসলাম বলেন, আমার বন্ধু রবিউল ভারতে গিয়ে আমটি খেয়ে মুগ্ধ হয়। তার মনে হয় আমটি বাংলাদেশে নিয়ে যেতে পারলে ভালো হয়। সে ওই আমগাছের কয়েকটি সায়ন সংগ্রহ করে দেশে নিয়ে এসে আমাকে দেয় ৫ বছর আগে। ওই বছর একটি গাছে কলম বাঁধি।
তিনি আরও বলেন, ৪০টি গাছ তৈরি করি চাষ শুরু করি। ৪০টি গাছই ফলন দিতে শুরু করে। আগস্টের মধ্য ভাগ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্য ভাগ পর্যন্ত পাকা আম পাওয়া যায়। আম বিক্রি করেছি ৫০০ টাকা কেজি পর্যন্ত। প্রতিটি গাছে প্রায় ২০ কেজি করে আম পেয়েছি।
সূত্রঃ প্রথম আলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।