জুমবাংলা ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী মাথাভাঙ্গা নদীতে প্রচুর পরিমাণে মরা ও আধমরা মাছ ভেসে উঠছে।। সোমবার (১ আগস্ট) দুপুর থেকে পরিমাণে কম মরা মাছ নদীর পানিতে ভাসতে থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে বেশ কয়েকটি স্পটে বেশি দেখা যায়। এসময় সাধারণ মানুষ ভিড় করতে থাকেন।
চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়ার প্রান্ত, মালোপাড়া, তালতলা প্রান্তের শত শত মানুষ জাল ও মশারি নিয়ে মাছ ধরেন।
নদীতীরের বাসিন্দারা জানান, সোমবার দুপুরের পর থেকে মাথাভাঙ্গা নদীতে মাছ ভেসে উঠেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে মাছ ধরার জন্য নদীর দিকে ছুটে যান। বালতি কিংবা গামলা নিয়ে মাছ ধরে নিয়ে আসেন। পুঁটি, ট্যাংরা, তোড়া, বেলে প্রভৃতি দেশীয় প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী হোসেন মিয়া বলেন, ‘কেউ দুই কেজি, কেউ তিন কেজি মাছ নদী থেকে নিয়ে বাড়ির দিকে ফিরে গেছেন। তবে রাত হওয়ায় ঠিকভাবে দেখা যাচ্ছিল না নদীর পানি। পানিতে কিছু থাকলেও বোঝা যায়নি।’
মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি বলেন, ‘মাথাভাঙ্গা নদীর পানি নানা কারণে দূষিত হচ্ছে। আমরা বার বার বলছি, মাথাভাঙ্গা নদীকে বাঁচাতে হবে। পৌরসভা শহরের আবর্জনা ফেলে নদীতে। ড্রেনের পানি গিয়ে পড়ছে নদীতে।’ এসময় মাছ মরার বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসনের তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রাজিউল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পর নদী পরিদর্শন করা হয়েছে। আর আমি শুনেছি দামুড়হুদা উপজেলাতেও একটি স্পটে এরকম মাছ মারা যাচ্ছে। দামুড়হুদা ব্রিজ থেকে নদীতে দেখা যাচ্ছে, পানির ওপর এক ধরনের কালো স্তর। মঙ্গলবার আরও গভীরভাবে তদন্ত করা হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মৎস্য বিভাগকে বিষয়টি জানিয়েছি। তদন্ত করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।