জুমবাংলা ডেস্ক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কেউ কেউ বলেছেন- নদী দখল করার সময় বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি সবাই একসঙ্গে থাকে। এরা রাজনৈতিক শক্তি নয়। এরা অপরাধী। সরকার এদের অপরাধীদের হিসেবে দেখবে। এই জায়গায় সরকার জিরো টলারেন্স দেখাবে।
রবিবার (২৬ মে) ফার্মগেটস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘জাতীয় নদী কনফারেন্স-২০২৪’- এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে বক্তারা, দেশের সব নদ নদী রক্ষায় সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেন, রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয় আর অর্থনৈতিক দাপট দেখিয়ে এক শ্রেণির মানুষ অবাধে নদী দখল করছে। দূষণ, নাব্যতা সংকট সহ ড্রেজিংয়ের অভাবে অনেক নদী বিলীন হয়ে গেছে। দেশের বড় বড় অনেক নদীই আজ অস্তিত্ব সংকটের মুখে। এই পরিস্থিতিতে নদী রক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সারোয়ার মাহমুদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মো. শরীফ উদ্দিন, নিজেরা করি এর সমন্বয়কারী খুশী কবির, বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল লইয়ার্স এসোসিয়েশন (বেলা)-এর প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এএলআরডি এর নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন, রিভারাইন পিপলের পরিচালক ড. তুহিন ওয়াদুদ, রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মো. এজাজ, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন, লেখক ও সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী, নদী সংগঠক জুলিয়েট কেয়া মালাকার, রণজিত দত্ত, আলিউর রহমান, নুর আলম শেখ, পল্টন হাজং, এস এম মিজানুর রহমান, খাইরুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন সোহেল।
‘নদী বাঁচাই, দেশ বাঁচাই’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় নদী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এলআরডি, বেলা, ওয়াটার রাইটস ফোরাম, রিভারাইন পিপল, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
নদী রক্ষায় বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হয়েছে একথা উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এ যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হবো। নদী রক্ষায় দখল, দূষণরোধ, অবৈধ বালু উত্তোলন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীকে ঘিরে সভ্যতা গড়ে উঠেছে- এটা সত্য। নদীর পাড়ে ইন্ডাস্ট্রি হবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে, শহর হবে সবই ঠিক আছে। সেগুলো হবে নদীকে রক্ষা করে, কিন্তু নদীকে ধ্বংস করে নয়। নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য সরকার ও রাষ্ট্রের আন্তরিকতা আছে। নদী রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা কাজ করছি।
বালুমহাল যত্রতত্র হবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করে বালু তুলতে হবে। সরকার দশ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের লক্ষ্যে কাজ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।