গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: প্রতি বছরের মতো এবারও বন্যার কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা। বছরের পর বছর ধরে যমুনার ভাঙন যেন সাঘাটাবাসীর নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনে দিনে ছোট হয়ে আসছে উপজেলাটির ভূভাগের পরিমাণও।
গত কয়েক বছরে নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে অগণিত বসতবাড়িসহ আবাদি জমি। এবারের বন্যাও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
সম্প্রতি যমুনার ভাঙ্গনে উপজেলার দুটি আশ্রয়নকেন্দ্রসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ১ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি ও বসতভিটা। ঘরবাড়ি হারিয়ে উদবাস্তুর মতো দিন কাটাচ্ছেন গৃহহারা এই অসহায় মানুষগুলো।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এবারের নদী ভাঙনে উপজেলার পাতিলবাড়ি, গাড়ামারা, সিপি গাড়ামারা, কানাইপাড়া, নলছিয়া, কালুরপাড়া, কুমারপাড়া, দীঘলকান্দী, হাটবাড়ি, মুন্সিরহাট, উত্তর সাথালিয়া, দক্ষিণ সাথালিয়া, চিনিরপটলসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যপক ভাঙন শুরু হয়েছে। অব্যাহত এই ভাঙনে হলদিয়া ইউনিয়নের দীঘলকান্দী ও সদর ইউনিয়নের উত্তর সাথালিয়া গ্রামের দুটি আশ্রয়নকেন্দ্রসহ প্রায় ১ হাজার পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মশারফ হোসেন সুইট জুমবাংলাকে জানান, এবারের নদী ভাঙনে কয়েকটি এলাকার প্রায় ৪ শত পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী প্রধান জুমবাংলাকে বলেন, তার ইউনিয়নে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে।
এছাড়া ঘুরিদহ ইউনিয়নে চিনিরপটল গ্রামে নদী ভাঙনে প্রায় ৫০ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর এবং উপপ্রকৌশলী রেজাউর রহমান রেজা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।