জুমবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ এলাকা থেকে মাহমুদা আক্তার নামে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সজল ও দেবর সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ৩৩ নং ওয়ার্ডের শম্ভুগঞ্জ রঘুরামপুর এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মাহমুদা সদর উপজেলার রাঘবপুর গ্রামের বিল্লাল মুন্সির মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃত সজল ও সুজন রঘুরামপুর এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, প্রায় তিন মাস আগে পারিবারিক ভাবে মাহমুদার বিয়ে হয় সজলের সাথে। বিয়ের পর থেকে মাহমুদা তার স্বামী শম্ভুগঞ্জের রঘুরামপুর সবজিপাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করতেন। তাদের মাঝে প্রায়ই যৌতুকের টাকার জন্য ঝগড়া লেগেই থাকত।কয়েক দফা মাহমুদা বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে স্বামী সজলকে দিয়েছেন।
আবারও সজল যৌতুকের টাকা দাবি করেন সজল। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার দিনভর স্বামীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া হয় মাহমুদার। পরে বিকালের দিকে মাহমুদা আক্তার নিজে তার ঘরের দরজা আটকে টিভি দেখছিলেন। অনেকক্ষণ কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে মাহমুদাকে ডাকাডাকি করলেও সে কোন সাড়া দেয়নি।
পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ডুকলে সিলিংয়ের সাথে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। এমন অবস্থায় পরিবারের লোকজনের চিৎকার চেচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। পরিবারের লোকজন নিজেরাই লাশ নামিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ তালুকদার বলেন, যৌতুকের জন্য নববধূকে হত্যার ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়মনাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী-দেবরকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।