জুমবাংলা ডেস্ক : ‘করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চেয়ারম্যান, ডাক্তার প্রশাসনসহ ম্যালা মানুষ আমার খোঁজখবর নিয়া যেভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করছে, আমার ৭৪ বছর বয়সে এর আগে আমার ও আমার পরিবারের খবর এমুন কইরা কেউ লয় নাই। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ’।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের করোনাজয়ী, মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন (৭৪) গতকাল বৃহস্পতিবার কথাগুলো বলছিলেন। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সহসম্পাদক আলামীনুল হক গতকাল বিকেলে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী নিয়ে করোনাজয়ী ওই মুক্তিযোদ্ধার খোঁজখবর নিতে বাড়িতে গেলে তিনি করোনাযুদ্ধের জয়গাথা এভাবেই বলেন।
জানা গেছে, জাফরপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন ও তার ছেলে নূর মোহাম্মদ প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর তার পরিবারের আরো ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ১২ জন দীর্ঘ ১৪ দিন সম্পূর্ণ হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে প্রথমদিকে একই পরিবারের ১২ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে গোটা পরিবারটি ভয়ে আতঙ্কে ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু গোটা পরিবারটির দুঃসময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান, ইউএনও মোহাম্মদ মাসুম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হাবিবুর রহমানসহ নানা পেশার বিভিন্নজন খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারটির খোঁজখবর নেন। অবশেষে দীর্ঘ ১৪ দিন সংশ্লিষ্টদের কঠোর নজরদারিতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পর করোনা আক্রান্ত ওই ১২ জনই এখন সুস্থ বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সরকারি হাসপাতালের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হাবিবুর রহমান হাবিব আজ সকালে বলেন, একই পরিবারের ১২ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আমরা নিজেরাও প্রথমদিকে ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় এখন ১২ জনের করোনা পরীক্ষার প্রথম ফলাফল গতকাল নেগেটিভ এসেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।