মহাবিশ্বের সবচেয়ে রহস্যমোড়ানো জায়গা ব্ল্যাকহোল। ঘনত্ব প্রায় অসীম হওয়ায় এটি তার চারপাশের স্থানকালকে ভয়ানকভাবে বাঁকিয়ে ফেলে। আশেপাশের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলজুড়ে ব্ল্যাকহোলের মহাকর্ষ থাকে প্রচণ্ড শক্তিশালী। এই অঞ্চলটির চারপাশে থাকে ইভেন্ট হরাইজন বা ঘটনা দিগন্ত। কোনোকিছু একবার ইভেন্ট হরাইজন পেরিয়ে গেলে আর বাইরে আসতে পারে না। মহাবিশ্বের চূড়ান্ত বেগে চলা ভরহীন আলোর কণাও এর ব্যাতিক্রম নয়।
কোনোকিছু যেহেতু ব্ল্যাকহোল থেকে ফিরে আসে না, তাই এর ভেতরের অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। ব্ল্যাকহোলের চারপাশে অন্যান্য বস্তুর অবস্থা, ইভেন্ট হরাইজনে থাকা অ্যাক্রিশন ডিস্ক এবং ব্ল্যাকহোল জেটের মতো কিছু বিষয় থেকে এর অস্তিত্ব বুঝতে পারেন বিজ্ঞানীরা।
রহস্য সম্পর্কে মানুষের কৌতুহল চিরদিনের। ব্ল্যাকহোলের ভেতরে কী ঘটছে, এ নিয়ে প্রচণ্ড আগ্রহ বিজ্ঞানীদের। আসলে সবারই সে আগ্রহ আছে। কিন্তু চাইলেও সেখানে কাউকে পাঠানো সম্ভব নয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের ব্ল্যাকহোলটির দূরত্ব মাত্র ১৫ হাজার ৬৬ আলোকবর্ষের মতো। যদি এই দূরত্ব পাড়ি দিয়ে ব্ল্যাকহোলের কাছে যাওয়াও যায়, তারপর কী হবে? মানুষ কি ব্ল্যাকহোলের ভেতরে যেতে পারবে? যদি কোনো নভোচারী ব্ল্যাকহোলের ভেতরে যেতে চান, তাহলে কী হবে? মানুষের শরীর কি সে ধকল নিতে পারবে?
এক বাক্যে এ প্রশ্নের জবাব দেন আমেরিকান মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রির হেইডেন প্ল্যানেটেরিয়ামের জ্যোতিঃপদার্থবিদ চার্লস লিউ। তাঁর মতে, ব্ল্যাকহোলে পড়ার সময় আপনার শরীর হয়ে হয়ে যাবে টিউব থেকে বের হওয়া টুথপেস্টের মতো!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।