মোহাম্মদ মুইজ্জু গত সেপ্টেম্বরের মালদ্বীপের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি মালদ্বীপ ভূখণ্ড থেকে ভারতীয় সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভারতের সেনারা এখনো মালদ্বীপে অবস্থান করছেন।
ভারতীয় নৌবাহিনী পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, সামরিক বাহিনীকে ফিরিয়ে নিয়ে আনার জন্য নয়াদিল্লি থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি। নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আর. হরি কুমার এ তথ্য নিশিত করেছেন।
যেহেতু কেন্দ্রীয় কমান্ড থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি তাই আপাতত ভারতীয় সেনারা মালদ্বীপ ছেড়ে যাবেন না। তবে কেন্দ্রীয় কমান্ড থেকে যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে তা মেনে নেওয়া হবে বলে জানান ভারতের নৌবাহিনীর প্রধান। ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলেও চেষ্টা করা হচ্ছে স্বাভাবিক করার।
হাজার হাজার ভারতীয় পর্যটক মালদ্বীপে তাদের ভ্রমণের ইচ্ছা থাকলেও বাতিল করে দিচ্ছেন। মালদ্বীপের প্রধান বিরোধী দল মালদ্বীভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতিকরা কঠোর সমালোচনা শুরু করেন মুইজ্জুর। অনেকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে তার অপসারণের দাবিও তোলেন।
অনেকে ভেবেছিলেন যে, মালদ্বীপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভ্রমণ দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে স্বাভাবিক করবে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ভ্রমণ সংক্রান্ত কিছু ছবি প্রকাশের পর অনলাইনে ব্যাপক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন ভারত ও মালদ্বীপের নেটিজেনরা।
গত ১৪ জানুয়ারি সেনা প্রত্যাহারের জন্য নয়াদিল্লিকে আল্টিমেটাম দেন মুইজ্জু। তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ভারতীয় সেনাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। এ বিষয় নিয়ে ভারতের পক্ষ হতে কোনো আপত্তি করা হয়নি।
দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং রাজনৈতিক দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুইজ্জু তার দেশে ভারতীয় সেনাদের অবস্থানের ঘোরতর বিরোধী। তার প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল মালদ্বীপের ভূখণ্ড থেকে ভারতীয় সেনাদের বিদায় করা।
সূত্র : রয়টার্স
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।