আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সাথে মিয়ানমারের জান্তা-নিয়ন্ত্রিত সামরিক বাহিনীর ক্রমবর্ধমান লড়াইয়ে ব্যাপক অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে দেশটির উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্য। এমন পরিস্থিতিতে নিজ নাগরিকদের মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারে নিযুক্ত চীনের দূতাবাসের এক বিবৃতিতে নাগরিকদের অবিলম্বে উত্তর মিয়ানমার ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার চীনা নাগরিকদের উত্তর মিয়ানমারের কোকাং অঞ্চল ছাড়তে নিজ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটিতে নিযুক্ত চীন দূতাবাস।
২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির উত্তরাঞ্চলে বিদ্রোহীদের সমন্বিত হামলার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। যা প্রতিবেশি চীনকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, ‘‘মিয়ানমারের স্বায়ত্তশাসিত কোকাং অঞ্চলের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি গুরুতর এবং জটিল আকার ধারণ করেছে।’’
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ সর্বোচ্চ পর্যায়ের সংযম বজায় রাখবে, স্থলভাগে উত্তেজনা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেবে এবং উত্তর মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য যৌথভাবে চাপ প্রয়োগ করবে।
মিয়ানমারে অবস্থানরত চীনা কর্মকর্তা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনীর সাথে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছিল চীন। ওই সময় উভয়পক্ষ অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং সংলাপ বজায় রাখতে সম্মত হয়েছিল।
তবে বিদ্রোহীদের জোট অবশ্য এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের ‘‘স্বৈরাচার সরকারকে’’ পরাজিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং শান্তি আলোচনা বা যুদ্ধবিরতির কথা উল্লেখ করেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।