জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়রপদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.রেজাউল করিম চৌধুরী ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৬৭ সালে যোগ দিয়েছিলেন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগে। ছাত্রাবস্থায় তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। দলের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
রেজাউল করিম চৌধুরী চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার অন্তর্গত ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন জমিদার বংশ বহরদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম হারুন-অর-রশীদ চৌধুরী ছিলেন একজন উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা ও দাদা ছালেহ আহমদ ছিলেন ইংরেজ শাসিত ভারত এবং পাকিস্তান আমলে চট্টগ্রামের একজন খ্যাতিমান আইনজীবী ও চট্টগ্রামে বৃটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত বিলুপ্ত কমরেড ব্যাংকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি পাকিস্তান আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরিবারের বড় ভাই অধ্যাপক সুলতানুল আলম চৌধুরী ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৫৪ সালের যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও তার পূর্ব পুরুষেরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ২৩টি মসজিদ প্রতিষ্ঠাসহ অসংখ্য জনকল্যানমূলক কাজ করেছেন। যার কারণে এলাকার জনসাধারণ এখনও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে খ্যাতিমান ঐতিহ্যবাহী এই বহরদার পরিবারের কথা।
চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচ.এস.সি. এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রী অর্জন করেন এবং তারপর আইন বিষয়ে পড়াশোনার জন্যে ভর্তি হন রেজাউল করিম চৌধুরী। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের পর হত্যার প্রতিবাদে সামরিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিরোধ লড়াইয়ে নেমে ফাইনাল পরিক্ষা দিতে পারেননি।
রেজাউল করিম ছাড়াও চট্টগ্রাম সিটির মেয়র হতে আরও ১৯ জন দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। তারা হলেন- বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সহসভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ সালাম, মহানগর-৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মুজিবর রহমান, মেজর ইমদাদুল ইসলাম (আব.), মো. ইনসান আলী, মোহাম্মাদ ইউনুস, বঙ্গবন্ধু পরিবারের ঘনিষ্ঠ ও প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন চৌধুরী তুফান, প্রাথমিক সদস্য সেলিনা খান, প্রাথমিক সদস্য মোহাম্মদ মনজুর আলম (সাবেক মেয়র), মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেখা আলম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য এ কে এম বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. মাহাবুবুল আলম, এরশাদুল আমিন, মো. মনোয়ার হোসন ও দীপক কুমার পালিত।
আগামীকাল রবিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। মার্চের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত পারে।
এর আগে ২০১৫ সালের এপ্রিলে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলমকে পরাজিত করে মেয়র হন। যদিও নির্বাচনের দিন বেলা ১১টায় বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থী মনজুর আলম কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। মোহাম্মদ মনজুর আলম এবার আওয়ামী লীগের ফরম কিনেছিলেন। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।