জুমবাংলা ডেস্ক: নাটোর জেলায় রমজান উপলক্ষে ভর্তুকি মূল্যে নি¤œ আয়ের মানুষের মাঝে টিসিবি’র পণ্যসামগ্রী বিপণন কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্যায় এগিয়ে চলেছে। আজ শনিবার বড়াইগ্রাম ও লালপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ গত বৃহস্পতিবার নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
জেলার ৫২টি ইউনিয়ন এবং আটটি পৌরসভার মোট ৯১ হাজার ২০০ পরিবার উপকারভোগীর তালিকায় রয়েছেন। প্রত্যেক পরিবার ৫৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি করে চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি করে মসুরের ডাল, ১১০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার করে সয়াবিন তেল পাচ্ছেন এবং ৫০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি করে ছোলা পাচ্ছেন। রোজার আগে প্রথম পর্যায়ের বিপণন কার্যক্রমে সুবিধাভোগী পরিবার ছোলা ছাড়া অন্যান্য পণ্যসামগ্রী উত্তোলন করেছেন।
এ কার্যক্রমের ফোকাল পয়েন্ট নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাদিম সারওয়ার জানান, আজ দ্বিতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় দিনে বড়াইগ্রাম উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে এবং লালপুর উপজেলার ঈশ্বরদী, ওয়ালিয়া ও চংধুপইল ইউনিয়নে মোট পাঁচ হাজার ৪১৯ জন সুবিধাভোগীর নিকট পণ্য হস্তান্তর করা হয়। প্রথম দিনে গত বৃহস্পতিবার নাটোর সদর, নলডাঙ্গা, বড়াইগ্রাম, লালপুর, গুরুদাসপুর, বাগাতিপাড়া উপজেলার বিভিন্ন বিপণন কেন্দ্রে মোট ১৬ হাজার ২৪১ জন উপকারভোগীর মাঝে টিসিবি’র পণ্য বিতরণ করা হয়। দুই দিনে মোট ২২ হাজার ৭৬৮ জন উপকারভোগী পণ্য পেয়েছেন। কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সমাধা করতে প্রত্যেক উপজেলায় জনপ্রতিনিধিদের সাথে উপজেলা প্রশাসনের ট্যাগ টিম কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি এবং মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনা করে সাধারণ মানুষের কল্যাণে এ কার্যক্রম চালু করে। এ কর্মসূচির প্রথম পর্যায় সুষ্ঠুভাবে জেলায় সম্পন্ন হয়েছে। এখন দ্বিতীয় পর্যায় চলছে। এর সুফল হিসেবে বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।