জুমবাংলা ডেস্ক: আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে নাটোর জেলায় ৪৫৪ গৃহহীন পরিবারের ঠিকানা তৈরীর কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সেমিপাকা এসব বসতবাড়ি নির্মাণে মোট ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার দশটি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্প অন্যতম। প্রকল্পের আওতায় দেশের সকল গৃহহীন মানুষকে জমিসহ গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণ কাজে ব্যয় হচ্ছে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা, সাথে পাঁচ হাজার টাকা করে গৃহ নির্মাণ সামগ্রীর পরিবহন মূল্য।
জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে নাটোর সদর উপজেলার বাকশোর এলাকাতে ২৫টি পরিবারের ঠিকানা তৈরীর কাজ চলছে। শুধু নির্মাণ কাজই নয়, সাথে আছে যেন একটুখানি মমত্ববোধ। নির্মাণাধীন বাড়িগুলোর আঙিনাকে বাসযোগ্য করতে মাটিও ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে সতর্ক উপজেলা প্রশাসন। বাড়িতে বসবাসকালে পরিবারের ছোট্ট শিশুটি যেন অনায়াসে আঙিনাতে খেলাধূলা করতে পারে, নীচু ভূমিতে যেন দুর্ঘটনার শিকার না হয়, এজন্যে একটু বাড়তি আয়োজন। ভবিষ্যতে ২৫ পরিবারের শিশুদের জন্যে ছোট্ট পরিসরে শিশু পার্ক তৈরী করে দেওয়ার সৃজনশীল চিন্তার কথাও জানালেন নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ আফরোজা খাতুন।
নির্মাণ কাজের গুণগত মান ও অগ্রগতি পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরো বলেন, প্রকল্পের নির্দেশিত ডিজাইন ও প্রাক্কলিত ব্যয়ে ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সকল সদস্য নিরলসভাবে পরিশ্রম করছেন।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির অন্যতম সদস্য দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ জানান, ২৫ বসতবাড়ি এলাকার মান উন্নয়নে ইউনিয়ন পরিষদ সব ধরণের সহযোগিতা প্রদান করে যাবে।
গৃহ নির্মাণ কাজের অগ্রগতির ব্যাপারে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন-আল-ওয়াদুদ জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে জেলাতে ৪৫৪টি গৃহ নির্মাণ কাজের ৬৫ শতাংশ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, এরআগে প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে জেলায় মোট এক হাজার ৮১৪ পরিবারের বসতি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। জেলার সকল গৃহহীন মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে তাদের বসতবাড়ির ঠিকানা খুঁজে পাবেন। আর তা হবে একটি মাইলফলক। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।