
জুমবাংলা ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে ডিবি পরিচয়ে অপহৃত প্রবাসী যুবক সৌরভের সন্ধান পেয়েছে তার পরিবার।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় তাকে ভৈরব থেকে ধরে নিয়ে যায় নরসিংদীর ডিবি পুলিশ।
সৌরভ তার ভৈরবের মধ্যেরচর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে।
এ সময় সৌরভের পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারেনি তারা ডিবির সদস্য। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তার খোঁজ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি ভৈরব থানায় জানিয়ে বুধবার একটি লিখিত অভিযোগ করে যুবকের মামা সাদ্দাম।
অভিযোগ পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ বুধবার রাত পর্যন্ত অপহৃত যুবককে খোঁজাখুঁজি করে। এরপর বুধবার রাত ১০টায় পুলিশ জানতে পারে সৌরভকে নরসিংদি ডিবি পুলিশ ধরে নিয়েছিল। সন্ধ্যায় তাকে তার নানীর কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
সৌরভের নানী পারভিন বেগম বলেন, নিজের ব্যবহৃত স্বর্ণ বন্ধক রেখে ও হাওলাত (কর্জ) করে ২০ হাজার টাকা নরসিংদীর ডিবি পুলিশকে দেয়ার পর আমার নাতীকে তারা মুক্তি দেয়। তবে মোটরসাইকেলটি রেজিস্ট্রেশন না থাকার অজুহাতে এখনও ফেরত দেয়নি বলে জানান তিনি।
ভৈরব থানার ওসি মো. মোখলেছুর রহমান জানান, নরসিংদির ডিবি পুলিশের ডিউটি ভৈরবে থাকতে পারে না। তবে তারা কোনো অভিযান চালালে বা আসামি ধরতে এলে ভৈরব থানাকে অবহিত করতে হবে। কেন তারা এ কাজটি করল আমি জানি না।
তিনি জানান, অপহরণের অভিযোগ পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। এতে পুলিশও চিন্তিত ছিল রাত পর্যন্ত। কাজটি ডিবি পুলিশ সঠিক করেনি বলে তিনি জানান।
নরসিংদী ডিবি পুলিশের এসআই গাফ্ফার বলেন, সাদ্দাম মা’দক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাকে ধরতে গেলে ব্যবহার খারাপ করায় তার ভাগ্নে সৌরভকে আটক করেছিলাম। টাকা রেখে তাকে ছাড়া হয়েছে কথাটি তিনি অস্বীকার করেন।
এক সোর্সের ১৫ হাজার টাকা সাদ্দাম মা’দক বিক্রির কথা বলে রেখে দেয়। এ টাকা আদায় করে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে তিনি জানান।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেনকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি জানান, আমি ঘটনাটি কিছুই অবগত নই। তবে বিষয়টি যদি সত্য হয় তবে অপরাধী ডিবি পুলিশদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



