জুমবাংলা ডেস্ক: ইংরেজি নববর্ষে উদযাপনের ইতিহাসে মেসোপটেমিয়া বা ব্যাবিলন সভ্যতার নাম লেখা রয়েছে। সেটাও খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় দুই হাজার বছর আগের কথা। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারই অনুসরণ করা হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক কোন দেশ কীভাবে উদযাপন করে দিনটি।
পোল্যান্ড
মজার কান্ড ঘটে এই দেশটিতে। এখানকার তরুণীরা সুন্দর থাকার আশায় বর্ষবরণের রাতে খরগোশের মতো পোশাক পরে জড়ো হয়। এরপর খরগোশের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি জোগাড় করে।
স্কটল্যান্ড
স্কটল্যান্ডে নতুন বছর উদযাপনের রীতিকে বলা হয় ‘হগম্যানাই’। ‘ফার্স্ট ফুটিং’ বা প্রথম পদক্ষেপ দিয়ে যাত্রা হয় এই উৎসবের। স্কটিশ রীতি অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যরাত থেকেই সবাই তাদের প্রতিবেশীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান। সঙ্গে উপহার হিসেবে থাকে কয়লা বা ছোট রুটি। এসবের পাশাপাশি সারারাত ধরে রাস্তায় রাস্তায় চলে গান-বাজনা। ইংরেজি সাহিত্যে নতুন বছর উদযাপনের সবচেয়ে আদি গীতিকবিতা লেখা হয়েছে স্কটল্যান্ডে। লোকগীতি হিসেবে খ্যাত ‘অল্ড ল্যাংগ সাঙ্গ’বা ‘পুরোনো দিনের কথা’গানটি প্রথম লোকসম্মুখে আনেন কবি রবার্ট বার্নস।
জাপান
এই দেশটিতে নতুন বছর উদযাপন উৎসব তাদের বার্ষিক উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম। ‘ওসুগাটসু’ নামের এই উৎসবে শামিল হয় জাপানের সব মানুষ। নতুন বছরে নতুন করে শুরু করার প্রত্যাশা নিয়ে পুরোনো বছরকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখে থাকেন জাপানিজরা। ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ মধ্যরাতে বৌদ্ধ মন্দিরে ১০৮টি ঘণ্টাধ্বনির মধ্য দিয়ে মানুষের ১০৮টি দুর্বলতাকে মুছে ফেলার কামনায় নতুন বছরের উৎসব শুরু করেন তারা।
স্পেন
স্পেনের অধিবাসীরা নতুন বছর শুরু করেন ১২টি আঙুর খাওয়ার মাধ্যমে। ১২টি আঙুর খাওয়ার উদ্দেশ্য, আগামী ১২টি মাস যেন তারা সুখ ও সমৃদ্ধির সঙ্গে কাটাতে পারেন।
হল্যান্ড
হল্যান্ডের মানুষ ক্রিসমাসট্রিতে আগুন জ্বালিয়ে এবং আকাশে আতশবাজি ফুটিয়ে নতুন বছর শুরু করেন। আগুনের মাধ্যমে পুরোনো জ্বালিয়ে দিয়ে নতুনকে স্বাগত জানানোই তাদের উদ্দেশ্য।
গ্রিস
গ্রিসের শহর সেন্ট বাসিলে পালন করা হয় নতুন বছরের উৎসব। এদিন তাদের ঐতিহ্যগত খাবার ‘ভাসিলোপিসা’বা ‘সেন্ট বাসিল’স কেক পরিবেশন করা হয়। এই কেকের বৈশিষ্ট্য হলো, কিছু কেকের ভেতর রুপা অথবা স্বর্ণের কয়েন দেওয়া থাকে। যারা এই কয়েন পেয়ে থাকেন, তাদের বিশেষ সৌভাগ্যবান হিসেবে ধরা হয়। ই
নিউইয়র্ক
এই দেশের নগরীর টাইমস স্কয়ারে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে ‘নিউ ইয়ার বল’ ফেলার মাধ্যমে নতুন বছর শুরু হয়। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ১৯০৭ সাল থেকে টাইমস স্কয়ারে এই উদযাপন হয়ে আসছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে কালো দানার মটর ডাল ও হ্যাম বা শূকরের উরুর মাংস দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার হোপিন’জন খেয়েও নতুন বছর উদযাপন করা হয়। আর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৮৮৬ সাল থেকে নিউ ইয়ার সেলিব্রেশনে রোজ প্যারেড নামে একটি বিশেষ খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
প্যারাগুয়ে
এই দেশটিতে বছরের শেষ পাঁচদিন ঘরে- ঘরে কোনো আগুন জ্বলে না। হয় না কোনো রান্না। শেষ পাঁচদিনকে তারা পালন করে ‘ঠান্ডা খাবার খাওয়ার দিন’ হিসেবে। ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর নতুন বছরের ঘণ্টা বাজলে হেঁসেলে আগুন জ্বেলে নতুন নতুন পদ, একসঙ্গে খেয়ে নতুন বছরে পা দেন তারা।
হাঙ্গেরি
বছরের প্রথম দিন উড়তে পারে এমন পাখির মাংস খেলে সৌভাগ্য উড়ে যাবে বলে মনে করে হাঙ্গেরির জনগণ! তারা নতুন বছরে পরিচিত বা বন্ধুদের যে উপহার দেন, তাতে চিমনি পরিষ্কার করছেন এমন একজন শ্রমিকের ছবি থাকে। তারা বিশ্বাস করে এমন উপহার দিলে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ নতুন বছরে মুছে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।