জুমবাংলা ডেস্ক: নামের আংশিক মিল থাকাসহ নানা কারণে বিনা দোষে জেল খাটতে হয়েছে নিরপরাধ ব্যক্তিদের৷ এমন আটটি ঘটনা নিয়েই আলোচনা করা করা হবে আজকের প্রতিবেদনে। খবর ডয়চে ভেলের।
জাহালম
দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের করা অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় ‘আবু সালেক’ নামে একজনের বদলে ২০১৬ সালে নরসিংদীর পাটকল শ্রমিক জাহালমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ প্রায় তিন বছর জেল খাটার পর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ছাড়া পান৷ তাকে আবু সালেক নামে শনাক্ত করেছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা৷ সেজন্য জাহালমকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে গতবছরের সেপ্টেম্বরে ব্র্যাংক ব্যাংককে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট৷
সালাম ঢালী
২০০৫ সালে মংলা বন্দরে থাকা এক জাহাজ থেকে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য চুরির মামলায় মো: আব্দুস সালামকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ তিনি পলাতক আছেন৷ তার জায়গায় সালাম ঢালী নামে এক ব্যক্তিকে ২০২০ সালের মার্চে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ পরে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে চার মাস জেল খাটার পর জুলাইতে মুক্তি পান সালাম ঢালী৷ সূত্র: যুগান্তর৷
মো. ইউনুছ
চট্টগ্রামে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২০০২ সালে মো. ইউনুছকে আসামি করা হয়৷ গ্রেপ্তারের পর ইউনুছ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন৷ পরের বছর জামিনে গিয়ে পলাতক হন৷ এরপর ইউনুছকে খুঁজে পাওয়া না যাওয়ায় ২০১৭ সালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়৷ তখন পুলিশ কুমিল্লা থেকে মো. ইউনুছ নামের একজনকে ধরে৷ ৫৮ দিন কারাভাগ শেষে আদালতের নির্দেশে তিনি মুক্তি পান৷ সূত্র: প্রথম আলো
আরমান বিহারী
এক মাদক মামলার প্রকৃত আসামি শাহাবুদ্দিন বিহারীর বাবার নামের সঙ্গে মিরপুরের বেনারসি কারিগর আরমান বিহারীর বাবার নামের মিল রয়েছে৷ সে কারণে পলাতক শাহাবুদ্দিন বিহারীর পরিবর্তে ২০১৬ সালে আরমানকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ৷ পাঁচ বছর জেল খাটার পর ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বের আরমানকে মুক্তির নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট৷ সেই সঙ্গে তাকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণেরও নির্দেশ দেয়া হয়৷ সূত্র: সময় টিভি৷
শুক্কুর শাহ
প্রকৃত আসামির নাম শুক্কুর আলী৷ নামের প্রথম অংশের মিল থাকায় এক বছর জেল খাটেন শুক্কুর শাহ৷ পুলিশ ভুল স্বীকার করায় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পান শুক্কুর শাহ৷ তার বাড়ি বরিশালের আগৈলঝড়ার নাগরবাড়ী গ্রামে হলেও ঢাকার রায়েরবাজার এলাকায় তার একটি লন্ড্রির দোকান ছিল বলে জানিয়েছেন তার বাবা৷ আর প্রকৃত আসামি শুক্কুর আলীর বাড়ি হাজারীবাগে৷ সূত্র: প্রথম আলো৷
সরোয়ার শেখ
ফরিদপুরের সরোয়ার শেখ ২০১৯ সালে বিনা দোষে চার মাস জেল খাটেন৷ কারণ, তার খালাতো ভাই মিলু ২০০০ সালে ঢাকার গুলশানে ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়েন৷
এরপর পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় মিলু নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে সরোয়ারের নাম-পরিচয় দেন৷ এরপর জামিনে ছাড়া পেয়ে আত্মগোপনে চলে যান৷ ধরা পড়েন সরোয়ার৷ তাকে ১০ বছরের জেল দেয়া হয়৷ এরপর সরোয়ারের আপিল আবেদনের ভিত্তিতে রহস্য উদ্ঘাটন করে পিবিআই৷ সূত্র: কালের কণ্ঠ৷
রফিকুল ইসলাম
অবৈধভাবে করাতকল স্থাপনের অপরাধে ২০১৫ সালে এক মামলায় আসামি হন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রফিকুল ইসলাম৷ এই মামলায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সাতদিন জেল খাটেন চা-বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম৷ পুলিশ বলেছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় পূর্ণাঙ্গ তথ্য না থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে৷ সূত্র: সময় টিভি৷
জাহাঙ্গীর আলম
জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার ব্যবসায়ী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন সরদারের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের প্রতারণার মামলা করেছিলেন ঢাকার এক ব্যবসায়ী৷ এই মামলায় পুলিশ জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করে৷ ভুল ধরা পড়ার পর মুক্তি দেয়া হয়েছে ঠিকই, তবে ততদিনে তার ১১ দিন জেল খাটা হয়ে গেছে৷ সূত্র: সমকাল৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।