জুমবাংলা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জর ফতুল্লায় মারিয়া আক্তার নাম এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী শাশুড়িসহ ৪জনের বিরুদ্ধ হত্যা মামলা হয়েছে। শনিবার ৪ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা মডেল থানায় নিহত গৃহবধূর মা রাহিমা বগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ স্বামী শাশুড়িসহ ৩জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান থানার পূর্ব শিয়ালদি গ্রামের শহিদ মীর ও রাহিমা বেগমের মেয়ে মারিয়া আক্তারকে (১৮) ৪ মাস পূর্বে প্রেমের সম্পর্কে মুন্সিগঞ্জের টংগীবাড়ী থানার আউটশাহী গ্রামের লিটন শেখের ছেলে রিফাত শেখ (২২) বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে রিফাত তার মা ও ভাইদের সঙ্গে মারিয়াকে নিয়ে ফতুল্লার মাসদাইর ছোট কবরস্থান এলাকায় শাহাদাতের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতো। আর বিয়ের পর থেকেই তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হতো।
আজ শনিবার ভোর ৪টায় রিফাতের বোন জামাই শেখ রাজা মিয়া ফোন করে রাহিমা বেগমকে জানান মারিয়া আক্তার ফতুল্লার মাসদাইরর ভাড়া বাসায় সিড়ি থেকে পড়ে আহত হয়েছে। তাকে নারায়ণগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এরপর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে গিয়ে রাহিমা বেগম তার মেয়ের লাশ দেখতে পায়। সেখান মেয়ের জামাই ও শাশুড়ি একেক সময় একেক ঘটনা বলে পালিয়ে যায় মারিয়ার স্বামী রিফাত।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, মারিয়া আক্তারের কপালের বাম পাশে আঘাতের রক্তাক্ত জখম রয়েছে। নাক ও মুখ দিয় রক্ত নির্গত হয়েছে। প্রাথমিক ভাব ধারনা করা হচ্ছে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপার্ট মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে। এঘটনায় রিফাত, তার ছোট ভাই আশরাফুল শেখ, তাদের মা আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।