লাইফস্টাইল ডেস্ক: দাম্পত্য জীবনে আবেগ ও ঘনিষ্ঠতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো শারীরিক সম্পর্ক। এটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া ও ভালবাসা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তবে অনেকেই জানতে চান—নারীদের এই শারীরিক চাহিদা আসলে কত বছর পর্যন্ত বজায় থাকে?
শারীরিক চাহিদা ও নারীদের বাস্তবতা
নারী-পুরুষের চাহিদা ও অনুভূতির পার্থক্য নিয়ে সমাজে বহুদিন ধরেই নানা কথা প্রচলিত। কেউ বলেন, নারীদের আকাঙ্ক্ষা পুরুষদের তুলনায় বেশি, আবার কেউ বলেন তার বিপরীত। তবে একে একপেশেভাবে বিচার না করে বুঝতে হবে, প্রতিটি মানুষের চাহিদা আলাদা, এবং সেটা বয়স, মানসিক অবস্থা, ও পারিপার্শ্বিকতার উপরও নির্ভর করে।
প্রাচীনকাল থেকেই মানব সমাজে শারীরিক চাহিদা একটি স্বাভাবিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে—শারীরিক সম্পর্ক হতে হবে উভয়ের সম্মতিতে, স্বেচ্ছায় ও ভালোবাসার ভিত্তিতে। জোরপূর্বক বা অনিচ্ছায় সংঘটিত কোনো সম্পর্ক কখনোই সুস্থ বা স্বাভাবিক বলা যায় না।
চাহিদার পার্থক্য ও সময়কাল
নারী-পুরুষ সকলের মধ্যেই রুচি ও আগ্রহের পার্থক্য থাকে। কেউ মিলনে আগ্রহী হন, কেউ হন অনাগ্রহী, কেউবা আবার মাঝেমধ্যে প্রয়োজনবোধে এতে যুক্ত হন। অনেকে শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে ভয় বা জড়তা অনুভব করেন। তাই সবার মধ্যে একইরকম চাহিদা বা অভিপ্রায় থাকবে—এমন ধারণা করা উচিত নয়।
নারীদের শারীরিক চাহিদার সময়সীমা
গবেষণা ও সামাজিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নারীদের শারীরিক আকাঙ্ক্ষা সাধারণত কিশোরী ও টিনএজ সময়ে বেশি থাকে। ১৮ বছর বয়স পার হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে এই চাহিদা কমে আসতে শুরু করে। ৩০ বছর পার করলে অনেক নারীর চাহিদা আরও কমে যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে বলা যায়, নারীদের গড় চাহিদা তুলনামূলকভাবে পুরুষদের চেয়ে কম—প্রায় চার ভাগের এক ভাগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।