জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর উত্তরায় এক গৃহকর্মীকে ফ্রিজে দাগ ফেলানোর অভিযোগে জখম-নির্যাতনের পর বাসা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাঈদা সুলতানা এনি নামে এক নারীনেত্রীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিত ওই তরুণীর নাম পাপিয়া আক্তার মীম। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) ফেসবুক লাইভে এসে মীম বলেন, তাকে চুলের মুঠি ধরে নির্যাতন করা হয়েছে। পা ধরে মাফ চাইলেও মাফ করা হয়নি।
নির্যাতনকারী বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী সাঈদা সুলতানা এনি ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেত্রী। অধ্যয়নকালে ছিলেন বুয়েটের একটি হলের ভিপি। নারীর অধিকার ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে শাহবাগের রাজপথ থেকে টেলিভিশন টকশোতেও বক্তব্য শোনা গেছে এই নেত্রীর। এমন নারীনেত্রীর হাতেই গৃহপরিচারিকাকে নির্যাতনের ঘটনায় শাস্তি দাবি করেছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে অবশ্য অভিযুক্ত এনি সাংবাদিকদের বলেছেন, কাজ করার দ্বিতীয় দিনেই মিম ১০ হাজার টাকা দাবি করে বসে। এছাড়াও মিমকে তিনি নির্যাতনও করেননি।
এ ব্যাপারে ছাত্রইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মারুফ বিল্লাহ বলেন, ব্যক্তির দায় কখনো সংগঠনকে দিয়ে লাভ নেই। সাঈদা সুলতানা এনি যেটা করেছেন সেটা নিঃসন্দেহে অপরাধ। কিন্তু সেটা সোশ্যাল মিডিয়া বা ব্যক্তিগত ট্রায়ালে শাস্তির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভুক্তভোগী তরুণীর সুরক্ষা।
ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল বলেন, একটিভিস্ট হিসেবে চিনতাম। তিনি ছাত্র ইউনিয়ন করতেন জানি না। তবে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সমর্থনে বুয়েটে হলের ভিপি নির্যাচিত হয়েছিলেন। যাই হোক তার অপকর্মের দায় সংগঠনের নয়, বরং তিনি যেটা করেছেন সেটা তো অপরাধই। তবে একটিভিস্ট হিসেবে, নারীবাদী হিসেবে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের সাবেক শিক্ষার্থীর দ্বারা এ ধরনের কাজ আরও বড় অপরাধ। আমরা দলের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
পাশাপাশি তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান তিনি।
উত্তরা পশ্চিম থানার ডিউটি অফিসার এসআই নাহিদ জানান, ভুক্তভোগী তরুণী নিজেই থানাই এসেছেন। তার একটা অভিযোগ নেয়া হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা হবে।
https://www.facebook.com/jannat.m.khan.90
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।