জুমবাংলা ডেস্ক : পিঙ্ক ট্যাক্স (গোলাপী কর) শব্দটি প্রথম আলোচনায় উঠে আসে ২০১৫ সালে। নিউইয়র্কের একটি গবেষণায় দেখা যায়, পুরুষের জন্য তৈরি নানা জিনিসের তুলনায় নারীদের জন্য তৈরি জিনিসের দাম বেশি। এটিকে পিঙ্ক ট্যাক্স বলে অবিহিত করা হয়।
গোলাপী কর কী?
গবেষণায় বলা হয়, পুরুষদের জন্য তৈরি জিনিসের থেকে নারীদের জন্য তৈরি জিনিসের দাম বেশি। একই ধরনের জিনিস, একই ধরনের প্রোডাক্ট হওয়া সত্ত্বেও নারীদের জন্য তৈরি করা জিনিসের দাম পুরুষদের জিনিসের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল। নারীদের কাছ থেকে গোপনে এই কর আদায়ের বিরুদ্ধে অনেক প্রতিবাদ হয়েছিল, কিন্তু এখনও এই কর আদায় করা হচ্ছে।
যেভাবে ‘গোলাপী কর’ সংগ্রহ করা হয়
এই ধরনের কর মূলত সেই জিনিস থেকে সংগ্রহ করা হয়, যেগুলো বিশেষভাবে নারীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়। নারীরা নিজেদের মেক-আপ, নেইল পেইন্ট, লিপস্টিক, কৃত্রিম গয়না, স্যানিটারি প্যাড ইত্যাদি পণ্যের জন্য বেশি অর্থ খরচ করেন। পুরুষ ও নারী উভয় দ্বারাই ব্যবহার হয়, যেমন সেন্ট, পেন, ব্যাগ, চুলের তেল, রেজার এবং জামাকাপড় ইত্যাদি, একই কোম্পানির হওয়া সত্ত্বেও, নারীদের জিনিসগুলোর দাম হয় বেশি।
উদাহরণ হিসেবে গবেষণায় দেখানো হয়, পুরুষদের লিপ বাম ৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, নারীদের লিপ বামের দাম হচ্ছে প্রায় ১৫০ টাকা। বিউটি প্রোডাক্ট হোক বা ফ্যাশন ব্র্যান্ড, সব জায়গায় একই অবস্থা।
গোলাপী করের কারণ কী?
মার্কিন সংস্থাগুলোর যুক্তি ছিল নারীদের জন্য পণ্য তৈরি করতে বেশি খরচ হয়। পাশাপাশি দাবি করা হয়, নারীরা একই ধরনের জিনিসের জন্য বেশি অর্থ দিতে প্রস্তুত, তাই বাজারের এই সুবিধা নেওয়া উচিত।
মাত্র ১৫ বছরে বিয়ে, শেষ বয়সে কি সন্ন্যাস নিয়েছিলেন সুচিত্রা?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।