আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রসব পরবর্তী ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক নারী। পরে তার অপারেশন করা হয়। কিন্তু এরপরও ব্যথা চলছেই। পরে ওই রোগীর পেটে মিলল ডাক্তারের একটি গামছা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে বুধবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে উত্তরপ্রদেশের আমরোহার বাঁশ খেরি গ্রামের এক ডাক্তার তার এক নারী রোগীর পেটের ভেতরে গামছা ফেলে রাখেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর সেখানকার চিফ মেডিকেল অফিসার (সিএমও) রাজীব সিংগাল এটির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ওই ডাক্তারের নাম মাতলুব এবং ভুক্তভোগী ওই নারী রোগীর নাম নাজরানা। সিএমওর তথ্য অনুযায়ী, ডাক্তার মাতলুব সাইফি নার্সিং হোমে অপারেশন করার পরে নাজরানার পেটে তোয়ালে রেখেছিলেন। আমরোহার নওগাওয়ানা সাদাত থানা এলাকায় ওই নার্সিং হোমটি অনুমতি ছাড়াই চলত বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, চিকিৎসা কর্মীদের গাফিলতির কারণে নাজরানার পেটের ভেতর গামছাটি ফেলে রাখার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী তলপেটে ব্যথার কথা জানানোর পর অভিযুক্ত ডাক্তার তাকে আরও পাঁচ দিন ভর্তি করে রাখেন এবং বাইরে ঠাণ্ডার কারণে পেটে ব্যথা হচ্ছে বলে নারীকে জানিয়েছিলেন।
পরে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসার পরেও নাজরানার স্বাস্থ্যের উন্নতি না হলে তার স্বামী শমসের আলী তাকে আমরোহার অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। আর সেখানেই তারা নাজরানার পেট ব্যথার পেছনে আসল সত্যটি জানতে পারেন এবং আরেকটি অপারেশনের পরে পেটের ভেতর থেকে গামছাটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী শমসের আলী অভিযুক্ত প্রাইভেট ডাক্তার মাতলুবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিএমওর কাছে অভিযোগ করেছেন।
চিফ মেডিকেল অফিসার (সিএমও) রাজীব সিংগাল গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘আমি মিডিয়া রিপোর্টের মাধ্যমে ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি এবং নোডাল অফিসার ড. শারদকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি। তদন্ত শেষ হলেই আমরা আরও বিস্তারিত জানাতে পারব।’
অবশ্য শমসের আলী এ বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে এই ঘটনায় তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সিএমও। এছাড়া সিএমও তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই পুলিশ তদন্ত শুরু করবে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।