জুমবাংলা ডেস্ক : সম্প্রতি জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এক আলোচনায় নারী উন্নয়ন কমিশনের ৪৩৩টি সুপারিশ নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেছেন। নারী উন্নয়ন কমিশনের সুপারিশ নিয়ে তাঁর বক্তব্য ছিল বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা অপরিহার্য। এই কমিশন প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে গঠিত হওয়ায় তাদের প্রস্তাবগুলো বাধ্যতামূলক না হলেও তা দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর গ্রহণযোগ্যতার উপর নির্ভর করবে।
নারী উন্নয়ন কমিশনের সুপারিশের বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ
নারী উন্নয়ন কমিশনের সুপারিশগুলো প্রয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। প্রথমেই যেটা উল্লেখযোগ্য তা হল, এই কমিশন গঠনে কেন ইসলামী আলেম বা ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ায় ধর্মীয় অনুধাবন এবং সমাজের বাস্তবতার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। ইউনিফর্ম ফ্যামিলি কোডের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তাঁর মতামত ছিল সংবেদনশীল এবং বিতর্কিত, কেননা বাংলাদেশ সিডো (CEDAW) কনভেনশন স্বাক্ষর করলেও কিছু অনুচ্ছেদে রিজার্ভেশন রেখেছে।
সামাজিক বাস্তবতা ও ধর্মীয় সংবেদনশীলতা: সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রভাব
তিনি বলেন, নারীদের উত্তরাধিকারে ইসলামে ৫০% অধিকার নিশ্চিত করা থাকলেও বাস্তবে কতোটা বাস্তবায়িত হয়েছে তা প্রশ্নবিহীন থাকে। অনেক নারী সম্পত্তির অধিকার চাওয়ার সময় পারিবারিক সম্পর্ক ভেঙে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে পড়ে, যা পারিবারিক আইন ও উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিধান বাস্তবায়নে একটি বড় বাধা।
ম্যারিটাল রেপ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ব্যারিস্টার পাটোয়ারী বলেন যে, এধরনের ব্যক্তিগত বিষয়ে প্রমাণ উপস্থাপন করা অনেক ক্ষেত্রেই জটিল হয়ে পড়ে। এই ধরনের অপরাধের প্রমাণ উপস্থাপনের চ্যালেঞ্জ থাকলেও বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুতর কারণ হতে পারে।
শেষে তিনি উল্লেখ করেন যে, কমিশনের প্রধান নিজেই বলেছেন, ৪৩৩টি সুপারিশের মধ্যে আংশিক বাস্তবায়ন হলেও তা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। তবে, বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, ধর্মীয় সংবেদনশীলতার মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করে কাজ করা একিচিত, নাহলে এসব কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
ডিসেম্বর ২০২৩-এর পরিবর্তনগুলোর জন্য প্রস্তুতি
বছরের শেষে, কমিশনের সুপারিশ যথাযথভাবে বাস্তবায়নে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ উদ্যোগ গ্রহণ, আইনি সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং নারী উন্নয়ন সম্পর্কিত কর্মশালা।
FAQs Section:
- নারী উন্নয়ন কমিশনের সুপারিশের প্রধান চ্যালেঞ্জ কী?
- নারী উন্নয়ন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের মূল চ্যালেঞ্জ হল রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সামাজিক ও ধর্মীয় বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য স্থাপন।
- ইসলামী নিয়মাবলীর সাম্প্রতিক বিতর্কের প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?
- ইসলামী নিয়মাবলী অনুযায়ী নারীর উত্তরাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপের উপর গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে।
- ম্যারিটাল রেপ নিয়ে আয়োজিত কর্মশালাগুলো কি কোনো প্রভাব ফেলছে?
- ম্যারিটাল রেপ নিয়ে কর্মশালাগুলি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করছে এবং আইনি প্রতিবিধানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করাচ্ছে।
- সরকারি উদ্যোগগুলো এ বিষয়ে কী ভূমিকা পালন করছে?
- সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচীগুলি নারীদের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।