স্পোর্টস ডেস্ক : সারাবিশ্বেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দর্শক চাহিদা আকাশচুম্বী। ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া ছাড়িয়ে ফুটবলের জনপ্রিয়তা পৌঁছে গেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যে। ওই অঞ্চলের দেশগুলো সব ধর্মীয় কট্টরপন্থী হওয়ায় মেয়েদের ফুটবল নিয়ে ব্যাপক কড়াকড়ি আছে। কিছু দেশে তো মেয়েদের ফুটবল খেলা দূরের কথা, ফুটবল তারা দেখতেও পারে না! আর এবার ইরানে এমন এক কাণ্ড ঘটেছে, যার কারণে সারাবিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ইরানের শাস্তিও দাবি করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর টটেনহাম। ওই ম্যাচে রেফারির দায়িত্বে ছিলেন একজন নারী। প্রিমিয়ার লিগে এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। শুধুমাত্র সেই নারী রেফারি ম্যাচটিতে আছেন বলে ৯০ মিনিটের খেলাটির সম্প্রচারে বারবার বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে! নারী রেফারিকে বারবার সেন্সর করে লন্ডনের রাস্তাঘাট আর পর্যটন স্থানের ছবি দেখানো হচ্ছিল! কারণ সেই নারী রেফারি হাফপ্যান্ট পরে ছিলেন। হাফপ্যান্ট দেখেই সম্প্রচারকারীরা এই সেন্সর করে।
এমন ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ উঠেছে। ইরানের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কুস্তিগির সর্দার পাশাই বলেছেন, ‘গত রাতে ইরানের টিভি চ্যানেলটি কেবল ম্যাচে নারী রেফারি থাকার কারণে বেশ অনেকবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহামের ম্যাচটি সেন্সর করে। লিঙ্গের ভিত্তিতে এই বিভক্তিকরণের বিরুদ্ধে ফিফা কি কোনো প্রতিবাদ জানাবে না?’ নারী অধিকার সংস্থা ‘মাই স্টেলদি ফ্রিডম’ এর দাবি, নারী রেফারির উন্মুক্ত পা দেখে ভড়কে গিয়ে সম্প্রচার বিঘ্নিত করে সম্প্রচারকারী সংস্থা।
جناب #فیفا !
لطفاً تکلیف خود را با حکومتی مریض که حتی اجازه پخش تصویر یک کمک داور زن را در مسابقات فوتبال به بینندگان تلویزیون نمی دهد مشخص کنید،
آنها میخواهند زنان را از کلیه مسابقات و عرصههای بین المللی حذف کنند اما خود را کشوری #نرمال به جامعه بین الملل معرفی کنند، می شود؟ pic.twitter.com/ElxyN2VDM9— Sardar Pashaei (@sardar_pashaei) April 13, 2021
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।