জুমবাংলা ডেস্ক : আজ ৮ই মে, রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘সম্মিলিত নারী প্রয়াস’ ব্যানারে একদল নারী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। প্রতিবাদী নারীদের দাবি, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী নারীদের যে সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে, সেটিকে ক্ষুণ্ন করছে। যারা ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি আন্তরিক, তাদের জন্য এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।
Table of Contents
হাজার হাজার নারী মাসব্যাপী এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে নিজের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে চান। বক্তাদের মতে, পরিকল্পিত এই সংস্কার অস্বচ্ছ এবং সমাজের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করবে। তারা আশঙ্কা করেছেন যে, ধর্ম-সংক্রান্ত বরং পারিবারিক বন্ধনকে টলমল করে দিতে পারে।
নারী বিষয়ক কমিশনের প্রস্তাব ও তার বিরোধিতা
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের পেছনে কী উদ্দেশ্য আছে, সে বিষয়ে বক্তারা নানা প্রশ্ন তুলেছেন। বক্তারা প্রত্যয়ন করেছেন যে, এই প্রস্তাব নারীর অধিকার সংরক্ষণের পরিবর্তে বরং সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি করছে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা একসঙ্গে বলেন, বিতর্কিত প্রস্তাবগুলো কোরআনের নির্ধারিত নীতিমালার বিপরীতে। তাদের মতে, দুটি ভিন্ন নিয়ম একই দেশে চলতে পারে না। তারা নিশ্চিত যে, কোরআনের নির্দেশ বিনিময়যোগ্য নয়।
এমন প্রস্তাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক, শিক্ষক ও সমাজকর্মীরা। বক্তাদের মধ্যে একজন বলেন, “এই ধরনের প্রস্তাব ইসলাম ধর্ম বা আমাদের সমাজকে শিক্ষিত ও সচেতন করতে কোনো কাজে আসবে না।” তারা একটি সুশ্রাব্য সমাজ বিনির্মাণের জন্য পুরাতন প্রথা ও সংস্কারের পরিবর্তে এই নতুন প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে আহ্বান জানিয়েছেন।
কোরআনের নির্দেশনা ও নারীর মর্যাদা
আগামীকাল থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে এই মানববন্ধনের প্রভাব বিশ্লেষণ করবে বিশেষজ্ঞরা। তারা বিশ্বাস করেন, যদি কমিশনের এসব প্রস্তাব গৃহীত হয়, তাহলে নারীরা তাদের মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা আরো বলেন, ইসলাম নারীকে একাধারে রক্ষা ও পরম সন্মানের পাত্র বানিয়েছে। নারী মনোবল এবং আত্মসম্মান যে কোনো ধর্মের জন্য মৌলিক অধিকার। তাদের আশঙ্কা, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ধর্মবিরোধী এবং এর প্রভাব নেগেটিভ হতে পারে।
একজন নারী অধিকারকর্মী জানান, “সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিবন্ধন করে বাস্তবায়িত করা হলে আমাদের সমাজে যে ইতিবাচক প্রবাহ ছিল, সেটি মহান ক্ষতিকর হতে পারে।”
এ ধরণের মানববন্ধন তথা প্রতিবাদী আন্দোলন সমাজের জ্ঞানী শ্রেণীর উপর নতুন করে একটি দায়িত্ব দাবী করে। তারা সবাই একমত হয়ে বলেন, অভিযোগের আসল উদ্দেশ্য বিবেচনা করে সমাজে একটি গ্রহণযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
নারীদের অধিকার ও সামাজিক দায়িত্ব
বাংলাদেশের মুসলিম নারীরা সাংস্কৃতিক ও সামাজিক দিক থেকে যৌন পরিচয় ও সাম্প্রদায়িক মর্যাদার জন্য বিভিন্ন বাধার মুখোমুখি। তবে এবার মানববন্ধনে আন্দোলন করে নারীরা বুঝিয়ে দিয়েছে যে, সময় এসেছে তাদের স্বাধীনতা ও মর্যাদার রক্ষাকবচ তৈরি করতে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন, যে কোনো মুহূর্তে তাদের মৌলিক অধিকারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য তারা লড়াই করবেন।
বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক সংস্কার প্রয়োজন। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসও বিভিন্ন দেশকে নারীর অধিকার সংরক্ষণে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। (সূত্র: UN Human Rights).
ম্যানিফেস্টোতে উল্লেখযোগ্যভাবে বলা হয়েছে যে, নারীদের সঠিক শিক্ষা ও সঠিক প্রশিক্ষণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। মানববন্ধনের বক্তারা আশা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশে নারীরা তাদের অধিকার অগ্রসর করতে সক্ষম হবে।
এমন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের নারীরা নতুন আশা রাখতে পারেন। তারা একত্রিত হয়ে সরকারের কাছে দাবি জানাতে প্রস্তুত রয়েছেন যে, সরকারের এই উদ্যোগের পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
সবশেষে বলে রাখা ভালো
জানুন, নারীর মর্যাদা, অধিকার ও সুরক্ষা আমাদের দেশের বিকাশ নির্ভর করে। আমাদের সবার উচিত তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের অবস্থা তুলে ধরা।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সকে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫
FAQs
প্রশ্ন ১: নারী বিষয়ক কমিশনের প্রস্তাব কী?
উত্তর: নারী বিষয়ক কমিশন প্রস্তাব করেছে যে, নারীদের জন্য কিছু নতুন নিয়ম ও আইন প্রণয়ন করার উদ্দেশ্যে সংশোধন করা হবে, যা ইসলামী মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে।
প্রশ্ন ২: মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা কী দাবি করেছেন?
উত্তর: অংশগ্রহণকারীরা দাবি করেছেন যে, কমিশনের প্রস্তাব বাতিল করা উচিত কারণ এটি নারীদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে।
প্রশ্ন ৩: মানববন্ধনের মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: মানববন্ধনের মূল উদ্দেশ্য হল নারীপ্রধান সংস্কার কমিশনের মুসলিম নারীদের অধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করা।
প্রশ্ন ৪: নারী কমিশনের প্রস্তাব ইসলাম ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক কেন?
উত্তর: বক্তাদের মতে, কমিশনের প্রস্তাব ইসলামী নীতিমালা ও মূল্যবোধের সাথে কোনোভাবেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
প্রশ্ন ৫: সম্প্রদায়ের দায়িত্ব কী?
উত্তর: সম্প্রদায়ের সকলের দায়িত্ব হল নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং তাদের অধিকার রক্ষায় সহযোগিতা করা।
প্রশ্ন ৬: আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কী?
উত্তর: এই আন্দোলনের ফলে সম্ভাব্য নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার নতুন দিগন্ত খুলতে পারে, যা সমাজের সবার জন্য ইতিবাচক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।