জুমবাংলা ডেস্ক : সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মেসি থেকে সরকারি ওষুধ বিক্রির সময় হাসপাতালের এক নার্সকে হাতেনাতে ধরেছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা।
শনিবার (২৯ মে) সকালে হাসপাতালের নতুন ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অভিযুক্ত মো. রাশেদুল ইসলাম হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে কর্মরত থাকলেও দায়িত্ব পালন করছেন ফার্মাসিস্ট হিসেবে।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনে ফার্মাসিস্টের কক্ষে ওষুধের জন্য লাইনে দাঁড়ায় ১০-১৫ জন রোগীর স্বজন। লাইনের শুরুতে থাকা এক মহিলাকে ডাক্তারের কোন ধরনের ব্যবস্থাপনাপত্র ছাড়া প্রায় ৩০ পাতা গ্যাস্ট্রিক ও ডায়াবেটিসের ওষুধ দেয়। এতে পেছনে থাকা রোগীর স্বজনরা এত ওষুধ দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এসময় হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ অভিযুক্ত নার্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা শান্ত হন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত নার্স বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, গরীব হওয়ায় মানবিক কারণে ওষুধগুলো দিয়েছেন। কিন্তু একসঙ্গে এতো ওষুধ কেন তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী পৌরসভা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত মাকে নিয়ে ৩ দিন ধরে হাসপাতালে আছি। হঠাৎ হৈচৈ শুনে নিচে নেমে দেখি এক মহিলাকে প্রায় ৩০ পাতা ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালের ফার্মেসিতে দায়িত্বরত ব্যক্তির সঙ্গে অন্য রোগীর স্বজনদের বাকবিতণ্ডা চলছে। তাদের অভিযোগ, ওই মহিলাকে ওষুধগুলো টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নার্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মজিদ ওসমানী বলেন, রোগীটি গরীব তাই তাকে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। তবে এরপর থেকে যাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ দেওয়া না হয় তা বারণ করা হয়েছে। যদি ওষুধ বিক্রির কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।