হাবল স্পেস টেলিস্কোপ দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশে সার্ভিস দেওয়ার পরেও সুপারমেসিভ ব্ল্যাক হোলকে কেন্দ্র করে আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। নতুন গবেষণায় দেখা যায় যে, একটি সুপারমেসিভ ব্ল্যাক হোল তার নিজের ছায়াপথ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ গবেষণাটি অ্যাস্ট্রো-ফিজিক্যাল জার্নাল লেটারে পাবলিশের অপেক্ষায় আছে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পদার্থবিদ এ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। রচেস্টার ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির বিজ্ঞানী ম্যানুয়েলা ক্যাম্পানেলি বলেন যে, এতদিন যা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে তা এ গবেষণার সাথে পুরোপুরি মানানসই।
ডানদিকের জুম-ইন ভিডিও ফুটেছে দেখা যায় যে, বড় স্পটটি একটি ছায়াপথ। দূরে থাকা ক্ষীণ রেখাটি অনুসরণ করলে নিচে একটি বিন্দু দেখা যায় যা পলাতক ব্ল্যাক হোল হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। সুপারমেসিভ ব্ল্যাক হোল সাধারণত গ্যাস, নক্ষত্র এবং মহাজগতিক নানা বস্তু দ্বারা বেষ্টিত থাকে। এজন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাকহোলকে সহজে দেখতে পান না।
গবেষণায় আরো দেখা যায় যে, ব্ল্যাক হোল বেরিয়ে আসার সময় নতুন তারার জন্মের পথ তৈরি করে দিয়েছে। তখন একটি শক ওয়েভ তৈরি হয়েছিল। একই সময়ে ছায়াপথে গ্যাসের নানা মেঘ নক্ষত্রে ভেঙে পড়ে গিয়েছিল।
প্রথমে বিজ্ঞানীরা মনে করেছিল যে, তাদের প্রাপ্ত ডাটা সঠিক নয়। কিন্তু পরে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, যা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে সেটা সঠিক। এরকম দৃশ্য আগেও দেখা গিয়েছে যে ব্ল্যাক হোল নক্ষত্রকে গ্রাস এবং ধ্বংস করেছে।
গবেষকরা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে আরো একবার নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করবে। সাধারণত একটি সুপারমেসিভ ব্ল্যাক হোলকে তার ছায়াপথ থেকে দূরে সরাতে অনেক ফোর্সের প্রয়োজন হয়।
ভ্যান ডককুম মনে করেন যে, এই বিশেষ সুপারমেসিভ ব্ল্যাক হোল বেশি বিরল এবং নাটকীয়তার সঙ্গে ছায়াপথ ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এর আগে হাবল টেলিস্কোপের সাহায্যে অনেক ছায়াপথের একত্রিত হওয়ার ছবি পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণত ’rogue’ সুপারমেসিভ ব্ল্যাক হোল বলতে নিজের ছায়াপথ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াকে বোঝায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।