আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডন মাত্র ৯০ মিনিটে সফর করবে এমন এক আধুনিক সুপারসনিক বিমান বানাতে চায় নাসা।
২০০৩ সালে কনকর্ড বিমান বন্ধ হওয়ার পর থেকে এখন আটলান্টিকের উপর দিয়ে দ্রুত সময়ে উড়ে যাওয়া অতীতের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্কের ফ্লাইট এখন প্রায় আট ঘণ্টা সময় নেয়। অনুকূল জেটস্ট্রিম থাকলে নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডন পর্যন্ত সর্বনিম্ন পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
নাসা এমন এক সুপারসনিক বিমানে ভ্রমণের কথা ভাবছে যাতে করে ভবিষ্যতে নিউ ইয়র্ক-লন্ডন ফ্লাইট ৯০ মিনিটেরও কম সময় নিতে পারে।
নাসা তাদের ‘হাই স্পিড স্ট্র্যাটেজি’ সম্পর্কে একটি ব্লগ পোস্টে নিশ্চিত করেছে, তারা সম্প্রতি পরীক্ষা করে দেখছে বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলো মাক-ফোর বা ঘণ্টায় তিন হাজার মাইলের বেশি গতিতে উড্ডয়ন করতে সক্ষম হবে কি না।
নাসার গ্লেন রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘প্রায় পঞ্চাশটি রুটে সম্ভাব্য যাত্রী রয়েছে।’
সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কনকর্ডের রুট এতদিন নর্থ অ্যাটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরসহ আন্তঃমহাসাগরীয় রুটে সীমাবদ্ধ ছিল। এর কারণ অ্যামেরিকা ও বিভিন্ন দেশ তাদের ভূমির উপর দিয়ে সুপারসনিক ফ্লাইটের নিষিদ্ধ থাকা।
তবে নাসা তাদের কিউস্ট মিশনের অংশ হিসাবে এক্স -ফিফটি নাইন এস নামে ‘নীরব’ একটি সুপারসনিক বিমান তৈরি করছে। সংস্থাটি আশা করছে নতুন বিমানটি শেষ পর্যন্ত অ্যামেরিকা ও অন্যান্য দেশের নিয়মগুলো মেনে চলাচল করতে পারবে।
বিমানটি মাক টু এবং মাক ফোর (প্রতি ঘণ্টায় ১,৫৩৫ থেকে ৩,০৪৫ মাইল) গতিতে উড়তে পারে। কনকর্ডের সর্বোচ্চ গতি ছিল মাক ২.০৪ বা ঘণ্টায় ১,৩৫৪ মাইল। মাক ৪ এ ভ্রমন করা একটি জেট ৯০ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে অ্যাটলান্টিক পাড়ি দিতে পারবে বলে আশাবাদী নাসা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।