নাসা নিখুঁতভাবে কাজ সম্পাদনের জন্য বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। যেমন উদাহরণস্বরূপ ExoMiner নামক মেশিন লার্নিং সিস্টেমের কথা বলা যেতে পারে। এটির সাহায্যে নাসা নিশ্চিত করে বলেছে যে আমাদের সৌরজগতের বাইরে শত শত নতুন বহিঃগ্রহ রয়েছে। ইংরেজিতে একে বলা হয় Exoplanet।
২০১১ সালের ২৮শে এপ্রিল ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে একটি সাটল মহাকাশে পাঠানো হয় এবং সেখান থেকে বহিঃগ্রহ সম্পর্কে অনেক নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যায়। এর আগে হাজার হাজার গ্রহ আবিষ্কার হলেও নাসা জানায় সৌরজগতের বাইরে আগের আবিষ্কার করা এক্সোপ্ল্যানেট বাদ দিয়েও আরো হাজার হাজার গ্রহ রয়েছে।
নিউজ উইকের প্রতিবেদনে বলা হয় নাসার ExoMiner নতুন ৩০১ টি গ্রহ এর সন্ধান পেয়েছে এবং এই সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকবে। সৌরজগতের বাইরে পূর্বে আবিষ্কৃত গ্রহের সংখ্যা ছিল ৪৫৬৯ টি।
তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে এত গ্রহ পাওয়া গেলেও কোনোটিই পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য নয়। এসব গ্রহে মানব জাতি টিকতে পারবেনা। অনেকদিন ধরেই নাসার নির্দিষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে পৃথিবীর মতো কিছু গ্রহের সন্ধান পাওয়া যেখানে মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারবে এবং টিকতে পারবে। তবে নাসা এখনো তার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি তবে প্রচেষ্টা চলতে থাকবে।
নাসার ল্যাবরেটরি যে গ্রহ এবং তারার মধ্যে পার্থক্য করতে কোন সমস্যা না হয় এজন্য ExoMiner নামক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সহায়তা নেওয়া হয়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাসা নিশ্চিত হতে পারে কোনটি গ্রহ এবং কোনটি গ্রহ নয়। ExoMiner প্রযুক্তি সুপার কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। এটি তার কাজে এতটাই দক্ষ যে ExoMiner যদি বলে এটি একটি গ্রহ তাহলে সেটি ১০০% নিশ্চিত। তখন আপনাকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে এটি একটি গ্রহ।
নাসা এখন ExoMiner এর উপর এতটাই নির্ভর হয়ে পড়েছে যে এটি ব্যতীত একটি নতুন গ্রহকে যাচাই করা এবং নিশ্চিত করা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। ExoMiner নামক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স একজন মানব গবেষক হিসেবে কাজ করতে পারে।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এর নতুন ছবি: ধুলা ও আলোর স্তর দ্বারা আবৃত মৃত নক্ষত্র
নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের ১৩০০ কোটি বছরের পুরোনো গ্যালাক্সির প্রথম ছবি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।