জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের বাসায় মাদকের আসর বসাতেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি। ওই বাসায় নিয়মিতই চলত ইয়াবা ও বিদেশি মদ নিয়ে ‘আমোদ-ফুর্তি’। তদন্ত শেষে এমন তথ্যই পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এক হাজার পিস ইয়াবা ও বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার হওয়া ওই দু’জনকে আসামি করে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দিয়েছে তদন্ত সংস্থা ডিবি। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নেতা নাসির জামিনে রয়েছেন আর অমি কারাগারে।
ঢাকার তুরাগ তীরে অবস্থিত বোট ক্লাবে আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠার পর আলোচনায় আসেন ব্যবসায়ী নাসির ও অমি। গত ১৪ জুন ওই নায়িকা সাভার থানায় তাদের নাম উল্লেখসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর পরই আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে ডিবি।
মামলার পরদিন ডিবি পুলিশ উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ওই দু’জনকে। তখন সেখান থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা ও বিদেশি মদ উদ্ধার করার কথা জানানো হয়। একই সময় আরও তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে নাসির, অমি এবং ওই তিন নারীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। মামলাটি ডিবির গুলশান বিভাগ তদন্ত করছিল।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, বিমানবন্দর থানার মামলাটির তদন্ত শেষ হওয়ায় তারা আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন।
ডিবির তদন্ত সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, মামলার এজাহারে নাসির, অমি, লিপি আক্তার, সুমি আক্তার ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা নামে পাঁচজন আসামি ছিলেন। তবে তদন্তে মাদকের সঙ্গে ওই নারীদের সম্পৃক্ততা মেলেনি। তাই চার্জশিটে তাদের আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। নাসির ও অমিকে আসামি করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।