বিনোদন ডেস্ক : ‘কাভি কাভি মেরে দিল মে খায়াল আতা হ্যায়… ’। বরফের রাজ্যে আবেশে জড়িয়ে অমিতাভ বচ্চনের কোলে মাথা রেখে রাখী। অমিতাভের ঠোঁটে তখন, যশ চোপড়ার রোমান্টিক ফিল্ম ‘কাভি কাভি’-তে সাহির লুধিয়ানভির ওই কথাগুলিকে সুরের ছায়ায় চিরকালীন করেছেন খৈয়াম।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে প্রয়াত হলেন সেই কিংবদন্তি সুরকার। বয়স হয়েছিল ৯২।
পাঁচ থেকে শুরু করে নয়ের দশকের গোড়া পর্যন্ত- প্রায় চার দশক ধরে হিন্দি ছবির পর্দায় গজলকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মহম্মদ জহুর হাশমি খৈয়াম। সবাই তাকে চেনেন খৈয়াম নামে। তার সঙ্গে ছিল, কাইফি আজমি বা জান নিসার আখতারের মতো কবির লেখনী। তবে শুধু গজল নয়, সুরের সৃষ্টিতে খৈয়াম অমর করেছেন বহু সাধারণ মানের লেখনীও।
চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষ দিকে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে মুম্বাইয়ের জুহুতে এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন খৈয়াম। সে সময় থেকেই আইসিইউ-তে ছিলেন তিনি। তার দেখাশোনা করছিলেন গজল গায়ক তালাত আজিজ। সঙ্গে ছিলেন খৈয়ামের স্ত্রী জগজিৎ কউরও।
তালাত আজিজ জানিয়েছেন, সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মা’রা যান খৈয়াম। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল খৈয়ামকে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) মুম্বাইয়ে খৈয়ামের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অবিভক্ত ভারতের পঞ্জাবে ১৯২৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জন্ম খৈয়ামের। ছোটবেলা থেকেই টান ছিল হিন্দি ছবির গানের প্রতি। গান শিখতে এক বার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে চলেও আসেন দিল্লিতে, কাকার বাড়িতে। সুপ্ত ইচ্ছে, অভিনেতা হবেন। তবে শেষমেশ সে সব ছেড়ে এক সময় ফিরে যান নিজের বাড়িতে।
তখন থেকেই জোরকদমে উচ্চাঙ্গ সংগীতের তালিম শুরু। ১৯৬১-তে রমেশ সহগলের ছবি ‘শোলা অউর শবনম’- এর গানে সুর দিয়ে নজর কাড়েন তিনি। সেই শুরু! এর পর ‘ত্রিশূল’,‘বাজার’,‘উমরাও জান’,‘নুরি’,‘রাজিয়া সুলতান’-একের পর এক ছবিতে দর্শককে বেঁধেছিলেন তার সুরের জালে। পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার, সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি বা পদ্মভূষণ সম্মান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।