জুমবাংলা ডেস্ক : কোনো সংঘবদ্ধ চক্র নয়, নিঃসন্তান হওয়ায় পারিবারিক সমস্যা দূর করতেই গৃহবধূ আলপনা বেগম সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে পরপর দুটি শিশু চুরি করেন। আটকের পর পুলিশের কাছে এ কথা স্বীকারও করেন তিনি। এছাড়া, শিশু চুরির ঘটনায় হাসপাতালের পরিছন্নতাকর্মীরা সহযোগিতা করেছে বলেও প্রাথমিক তথ্য মিলেছে।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে সাত জনকে। সিরাজগঞ্জের ৪ দিনের ব্যবধানে দুটি হাসপাতাল থেকে দুই নবজাতক চুরির ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছিল অভিভাবকদের মাঝে। দাবি উঠে, শিশু চোরচক্রকে দ্রুত শনাক্তের। দোষীদের শনাক্তে মাঠে নামে পুলিশ। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে গ্রেফতার করা হয় একপল্লী চিকিৎসকসহ ৭ জনকে।
জীবিত উদ্ধার করা হয় শনিবার চুরি যাওয়া নবজাতক সামিউলকে। পাওয়া যায় অপর শিশু মাহিমের লাশও। এ নিয়ে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জেলা পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম। তিনি জানান, কোনো সংঘবদ্ধ চক্র নয় পরপর দুই নবজাতকই চুরি করেছেন আল্পনা বেগম নামে এক নিঃসন্তান নারী। প্রথম চুরি করা শিশুটি মারা গেলে তিনি দ্বিতীয় শিশুও চুরি করেন।
শিশু চুরির সঙ্গে হাসপাতালের দুই কর্মচারীও জড়িত ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় আর কোউ জড়িত আছে কিনা জানতে চলছে অনুসন্ধান। এদিকে শিশু মাহিমের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন স্বজনরা। এর আগে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হয় মাহিম নামে এক শিশু। তারপর শনিবার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চুরি হয় সামিউল নামে অপর শিশু।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।