নিউক্লিয়ার ফুয়েল কি? পারমাণবিক জ্বালানির ব্যবস্থা কীভাবে করা হয় এবং এটি কতটা নিরাপদ? নিউক্লিয়ার ফুয়েল সম্পর্কিত এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে আজকের আর্টিকেলে।
এখানে ইউরেনিয়াম-২৩৫ ধাতব পদার্থের ব্যবহার রয়েছে। খনির আকরিক থেকে নানা প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয় নিউক্লিয়ার জ্বালানি। ফিউশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি তৈরি করা হয়। নিউক্লিয়ার ফুয়েল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে পারমাণবিক চুল্লিতে চেইন রিএকশন ঘটে থাকে।
পুনরায় ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি পাওয়া যায় বিধায় এটিকে নবায়নযোগ্য হিসেবে অভিহিত করা হয়। পারমাণবিক জ্বালানির মূল উপাদান হচ্ছে ইউরেনিয়াম-২৩৫। এটির ধাতব টিউব এর রড হিসেবে পরিচিত।
নিউক্লিয়ার জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি সুবিধা হচ্ছে এটি কয়লা বা গ্যাস ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে বেশ সুবিধাজনক। কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে পরিমাণ কয়লার প্রয়োজন হয় এখানে ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন অতটা হয় না।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সবথেকে আলোচিত এবং দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে এর নিরাপত্তা। কেননা দুর্ঘটনা ঘটলে তেজস্ক্রিয়তার মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ হতে থাকবে। এজন্য তেজস্ক্রিয়তা যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেভাবেই সবকিছুর ব্যবস্থা করা হয়।
বিশেষ পদ্ধতিতে এর জ্বালানিকে মানুষের এবং পরিবেশের কাছে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে হয়। আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুসরণ করে ফুয়েল রডকে নিরাপদে রাখার নিশ্চয়তা দিতে হয়। উচ্চমানের নিউক্লিয়ার বর্জ্য ব্যবস্থার দিকেও নজর দিতে হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, জনমানবহীন এলাকায় মাটির ৪০০ ফিট গভীরে সমস্ত বজ্র পুঁতে ফেলা যেতে পারে। তবে নিউক্লিয়ার জ্বালানি ক্রয় করা একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার হতে পারে। কেননা এটি বেশ ব্যয়বহুল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।