দলের সঙ্গে নেই পর্যাপ্ত খেলোয়াড়। সঙ্গে আছে ইনজুরির প্রভাব। একের পর এক জটিলতায় বেশ বেকায়দায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অবস্থা এতটাই নাজুক, পর্যাপ্ত ক্রিকেটারের অভাবে মাঠে নেমে পড়লেন দলের কোচ। সোমবার লাহোরে ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ড। সেই ম্যাচে মাঠে নামতে হল টেম্বা বাভুমার দলের ফিল্ডিং কোচ ওয়ান্ডিল গাভু।
খেলার শুরুতে অতিরিক্ত হিসাবে দু’জন ক্রিকেটারের নাম দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বাভুমা। মোটে ১৩ জন ক্রিকেটার নিয়েই পাকিস্তানে ত্রিদেশীয় সিরিজে এসেছে তারা। দলে আর কোনও ক্রিকেটার নেই। আর সেই সুবাদে মাঠে দেখা গেল তাদের কোচকেই।
নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এক জন পরিবর্তিত ফিল্ডারের প্রয়োজন হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু তার আগেই দু’জন অতিরিক্ত ক্রিকেটার মাঠে নেমে পড়েছিলেন। সাজঘরে মাঠে নামার মতো কোনও ক্রিকেটার ছিলেন না। পরিস্থিতি সামলাতে জার্সি পরে মাঠে নামতে হয় দলের ফিল্ডিং কোচ গাভুকে। সাদা বলের ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডিং কোচ তিনি। কিছু দিন আগেই তাকে নিয়োগ করেছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা।
কেন এই খেলোয়াড় সংকট, এমন প্রশ্নের উত্তরটা মিশে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে। পাকিস্তানে যখন দল রওনা দিয়েছে, তখন পর্যন্ত চলছিল দেশটির ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর এসএ ২০। যে কারণে ৬ জন অনভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে নিয়েই এই ত্রিদেশীয় সিরিজে চলে এসেছে টেম্বা বাভুমার দল।
তাদেরই একজন গতকাল গড়লেন বিশ্বরেকর্ড। ওয়ানডে অভিষেকে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটা খেলেছেন ম্যাথু ব্রিটজকে। ১৫০ রান করেছেন এই ওপেনার। সেইসঙ্গে জেসন স্মিথ ৪১ এবং উইয়ান মুলডারের ৬৪ রানের ইনিংসের সুবাদে ৩০৪ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৪৮.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০৮ রান করে নিউজিল্যান্ড।
১১৩ বলে ১৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন কেন উইলিয়ামসন। ১৩টি চার এবং ২টি ছয় আসে তার ব্যাট থেকে। ১০৭ বলে ৯৭ রানের ইনিংস খেলেন ডেভন কনওয়ে। পাকিস্তানের পর দক্ষিণ আফ্রিকাকেও হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে চলে গেল নিউজিল্যান্ড।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।