আপনাকে যদি বিশ্বসেরা আবিষ্কারক বা বিজ্ঞানীদের নাম বলা হয় তাহলে আইনস্টাইন, রাইট ব্রাদার্স সহ অনেকের নাম বলবেন। তবে একজনের নাম সচরাচর উল্লেখ করা না হলেও তার উদ্ভাবিত অনেক জিনিস আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে থাকি। আর তিনি হচ্ছেন নিকোলা টেসলা।
নিকোলা টেসলা ছিলেন বিশ শতকের অন্যতম সেরা উদ্ভাবক। তার মৃত্যুর সময়ের ঘটনা শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি হোটেলে নিঃসঙ্গ অবস্থায় তিনি মারা যান। হোটেলের কক্ষে প্রবেশ করে দেখা যায় যে ৮৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে। কেউ জানতো না যে টেসলা ওই হোটেলের কক্ষে অবস্থান করছিলেন।
১৯৪৩ সালে মৃত্যুর সময় তিনি ছিলেন অসহায়, উপেক্ষিত, দরিদ্র এবং অসুস্থ। বর্তমান ক্রোয়েশিয়ায় তার জন্ম হয়েছিল। ছোটবেলায় অনেকে তাকে ’এলিয়ন শিশু’ বলে অভিহিত করেছিল। তার মা বলেছিলেন তিনি পৃথিবীতে আলো নিয়ে আসবেন। তবে সে কথা বিফলে যায়নি।
মানুষ যখন বিদ্যুৎকে রহস্য হিসেবে মনে করত তখন তিনি বিদ্যুৎকে হাতের তালুতে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার হাত ধরে শুরু হয়েছে রোবট এবং অটোমেশনের যুগ। এর ফলে মানুষের কায়িক শ্রম কমে যাওয়া এবং মেশিনকে দাসে পরিণত করার আইডিয়া সামনে এসেছে।
গ্যাসের টিউব, ফ্লোরোসেন্ট বাল্ব ইত্যাদি আমাদের সামনে নিয়ে আসার কারণে শিল্পক্ষেত্রে তা অনেক বেশি কাজে এসেছে। শিল্পক্ষেত্রে নতুন যন্ত্রের ব্যবহারের পেছনে তার বড় অবদান রয়েছে। তার উদ্ভাবন এবং জ্ঞানকে মূল্যায়ন করার জন্য তখনকার পৃথিবী প্রস্তুত ছিল না।
টেসলার উদ্ভাবিত এসি কারেন্ট অনেক দূরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো বিধায় বড় পরিসরে বিদ্যুৎ ব্যবহার করাটা যুক্তিসঙ্গত ছিল। হাইভোল্টেজ ট্রান্সফর্মার, বিভিন্ন জাতের বাল্ব সহ অনেক কিছুর পেটেন্ট গ্রহণ করেন তিনি।
টেসলার হাত ধরে আধুনিক জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়। টেসলার আবিষ্কার কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করে দিয়েছে। অন্যান্য বিজ্ঞানীদের সাথে টেস্টার পার্থক্য হল তিনি কেবল থিওরি দিয়ে যাননি বরং বাস্তবে তার প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।