জুমবাংলা ডেস্ক: মেডিকেল কলেজে ভর্তির অনিশ্চয়তায় থাকা ভ্যানচালকের ছেলে নিক্কন রায়ের পড়ালেখার যাবতীয় খরচের দায়িত্ব দায়িত্ব নিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার পর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে নিক্কন রায়ের মেডিকেল কলেজে ভর্তিসহ পড়াশোনার যাবতীয় খরচ বহন করার আশ্বাস দেন তিনি।
নিক্কন রায়ের বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের সুন্দরবন গ্রামে। পিতা হতদরিদ্র ভ্যানচালক খনিজ চন্দ্র রায়। অভাব-অনটনের সংসারে বেড়ে উঠলেও অদম্য মেধা নিয়ে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হন নিক্কন রায়। চান্স পান রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজে। কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়ার সামর্থটুকুও ছিল না তার পরিবারের।
দিননাজপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম বলেন, ‘গণমাধ্যমে জানার পর মেধাবী শিক্ষার্থী নিক্কনের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছি। আমি প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থীর পড়াশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করি। জাতীয় সংসদ থেকে যে সম্মানি পাই, তার সম্পূর্ণ টাকা আমি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করি। এই টাকায় ইতোমধ্যে অনেকেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে।’
নিক্কন রায়ের পিতা খনিজ চন্দ্র রায় বলেন, ‘ছোট বেলা থেকে নিক্কন মেধাবী শিক্ষার্থী। ভ্যান চালিয়ে দিন আনি দিন খাই। আমার পক্ষে তার মেডিকেলের পড়াশোনা করার মত সম্ভব ছিল না। জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি আমার ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আমরা তার কাছে চির কৃতজ্ঞ।’
নিক্কন রায় বলেন, ‘মাননীয় হুইপ স্যার আমার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে। আমি এবং আমার পরিবার অনেক খুশি, যা ভাষায় বোঝাতে পারবো না। আমি চিকিৎসক হওয়ার পর মানুষের সেবা করাই থাকবে আমার মূল লক্ষ্য।’
নিক্কন রায়ের পরিবারে দুই ভাইসহ পরিবারের সংখ্যা ৪ জন। নিক্কন তৃতীয় শ্রেণি থেকে মেধাবী ছাত্র হিসেবে স্কুল কলেজে প্রথম স্থান অধিকার করে এসেছে। নিক্কন ২০১৮সালে এসএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল। দিনাজপুর সদরের সুন্দরবন ইউনিয়নের আত্রাই স্কুলে মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ও ২০২০ এইচএসসি দিনাজপুর সরকারী কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।