জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজার সৈকতে গোসল করতে নেমে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থী আরিফুলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর সৈকতের নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে রবিবার সকাল ৮টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। নিহত শিক্ষার্থীর বড় ভাই জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক আলিফউজ্জামান শুভ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে এক বন্ধুসহ চোরাবালিতে আটকে নিখোঁজ হয়েছিল। ওইদিন বিকেলে কবিতা চত্বর পয়েন্ট থেকে অপর নিখোঁজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রবিবার মরদেহ পাওয়া আরিফুল ইসলাম (২১) কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছরা পিটি স্কুল এলাকার প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের মেঝ ছেলে ও রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সিএসই বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার চাচা নুরুল আজিম কনক জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
আলিফউজ্জামান শুভ জানান, সকালে নাজিরারটেক সৈকত এলাকায় একটি মরদেহ ভাসতে দেখে খবর দেয় স্থানীয় জেলেরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে এটি আরিফের মরদেহ শনাক্ত করে সদর থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ গিয়ে ১০টার দিকে মরদেহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা দিলে আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাকে সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, বিচকর্মীদের মতে ভাটাকালীন নিষিদ্ধ সময়েই শিক্ষার্থীরা সাগরে গোসল করতে নেমেছিল। এ সময় অসাবধানতাবশত ৫ জন চোরাবালিতে আটকা পড়ে। ৩ জনকে কোনমতে উদ্ধার করা গেলেও আরিফ ও রফিক মুহূর্তে নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে বিচকর্মী, পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করে। বিকাল ৪টার দিকে কবিতা চত্বর থেকে রফিকের মরদেহ উদ্ধার হয়। আর রবিবার সকাল ৮টার দিকে নাজিরারটেক সৈকত থেকে আরিফের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সূত্র : ইত্তেফাক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।