বলিউড অভিনেত্রী ইশা কোপিকর এবং তার স্বামী টিম্মি নারংয়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে ২০২৩ সালে। ইশা নাকি তার মেয়ে রিয়ানাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন, তারপরই হয় বিচ্ছেদ। তিন বছর সম্পর্কে থাকার পর ২০০৯ সালে টিম্মির সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন ইশা। প্রায় ১৪ বছর বিবাহিত জীবন কাটানোর পরে বিচ্ছেদ!
যদিও বিয়ে ভাঙার পর পরই কারণ নিয়ে সেভাবে কিছু জানাতে চাননি অভিনেত্রী। শুধু বলেছিলেন, ‘এত তাড়াতাড়ি আমার বলার কিছুই নেই। ব্যক্তিগত জীবন আড়ালেই রাখতে চাই।’ তবে বছর খানেক পর অর্থাৎ সম্প্রতি ইশা জানালেন, তিনি বিয়ে ভাঙতে চাননি। পুরোটাই স্বামীর হঠকারিতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।
ইশা জানান, তিনি আসলে বুঝতেই পারেননি বিয়েটা কেন ভাঙল। তবে তারা মানুষ হিসেবে একে অপরের থেকে অনেকটাই আলাদা। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত একেবারেই নাকি অভিনেত্রীর স্বামীর। তিনি আর পারছিলেন না বলতে গেলে। তবে বিয়ে ভাঙার কারণ হিসেবে তেমন কোনো উত্তর না মেলায় এখনও উত্তর খুঁজছেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি হয়তো ওর সঙ্গে বিয়েটা না ভাঙতেই পারতাম। সেটাই বরং আমার জন্য সহজ হত। কিন্তু এটা আমার মূল্যবোধের সঙ্গে বিপরীতধর্মী। তাই আলাদা হয়ে যাওয়াটা সমীচীন। কিছু উত্তর আমার চাই। মনে হয় এই ব্রহ্মাণ্ডই আমাকে উত্তর দেবে। একসঙ্গে থেকে প্রতিনিয়ত ঝগড়া করা আসলে অর্থহীন।’
তবে অভিনেত্রীর আক্ষেপ, মেয়ে রিয়ানার জন্য। কারণ তিনি চেয়েছিলেন ধীরে-সুস্থে মেয়েকে পুরোটা বোঝাতে। কিন্তু স্বামীর হঠকারিতা সেই সময় দেয়নি। যদিও ইশার কথায়, ‘পরে টিম্মি ওর ভুল বুঝতে পারে ক্ষমা চায়।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয়: মেজর হাফিজ
তেলুগু ছবির মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখার পর ২০০০ সালে মুক্তি পায় ইশা অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি ‘ফিজা’। এরপর ‘পিয়ার ইশক অর মহব্বাত’, ‘কোম্পানি’, ‘কেয়ামত’, ‘কাঁটে’, ‘দিল কা রিশতা’, ‘ডরনা মানা হ্যায়’, ‘কৃষ্ণা কটেজ’-সহ একাধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন ইশা। ‘কোম্পানি’ ছবিতে ‘খাল্লাস’ গানে তার আবেদন এখনও মনে রেখেছেন দর্শক। তবে বিয়ের পর থেকে সেভাবে হিন্দি ছবিতে দেখা যায়নি তাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।