আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরান বিগত ৪০ বছরে নিজের সবটুকু সামর্থ্য নিয়ে আফগানিস্তানের জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি মাজিদ তাখতে রাভাঞ্চি গতকাল (বুধবার) নিরাপত্তা পরিষদে আফগানিস্তান বিষয়ক এক বৈঠকে একথা জানান। তিনি বলেন, এটি আফগানিস্তান বিষয়ক ইরানের রাষ্ট্রীয় নীতি যার প্রতি সর্বোচ্চ নেতার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। খবর পার্সটুডে’র।
তিনি আফগানিস্তানের নজিরবিহীন মানবিক সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী আফগানিস্তানর দুই কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের এখন মানবিক ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন।
ইরান এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানে খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীসহ শত শত টন ত্রাণ পাঠিয়েছে জানিয়ে তাখতে রাভাঞ্চি বলেন, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পরও দেশটির জনগণের কথা ভেবে ইরান নিজের সীমান্ত খোলা রেখেছে এবং দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক লেনদেন চালু রেখেছে।
আফগানিস্তান থেকে ইরান অভিমুখী শরণার্থীদের ঢল প্রসঙ্গে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার আফগান নাগরিক ইরানে প্রবেশ করছে। এ অবস্থায় ইরানের ওপর আমেরিকার নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞার কারণে নানারকম অসুবিধা সত্ত্বেও আফগান শরণার্থীদের সব রকম সেবা ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে তেহরান।
তিনি বলেন, এমনকি করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার ক্ষেত্রেও আফগান শরণার্থীদের সঙ্গে কোনো বৈষম্য করা হয়নি বরং তাদেরকে বিনামূল্যে এই টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি ইরানে অবস্থানরত লাখ লাখ আফগান শরণার্থীকে সহযোগিতা করার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা ইরানের একার পক্ষে এসব শরণার্থীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেবা দিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।