জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় রেল দুর্ঘটনায় তছনছ অনেক পরিবারের স্বপ্ন, আশা। শিশুর লাশ দাফনেরও সুযোগ হয়নি বাবা-মায়ের। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন অসহ্য যন্ত্রণায়। অন্যদিকে বাবার লাশ দাফন করে ফেরার সময় মাকেও হারিয়েছেন তিন ছেলে-মেয়ে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের ভবিষ্যত।
বেঁচে থাকাটা কখনও কখনও যেন মৃত্যুর চেয়েও যন্ত্রণাদায়ক। সব চেয়ে নিরাপদ আশ্রয় মায়ের কোল থেকে মৃত্যু কেড়ে নিল ছোট সোহাকে। আর্তনাদও তাই করতে পারছেন না মা নাজমা। একটু পর পর কুকড়ে যাচ্ছে অসহ্য ব্যথায়।
নাজমা বেগম বলেন, ‘কিছু কইতে পারি নাই, হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড়ের মতো এসে অন্ধকার হয়ে এসে সব গুড়া করেলাইচে। আমার মেয়ে ছিলো আমার কোলে ঘুমে। আমার কোল থেকে পড়ে গিয়ে চাপ খেয়ে জায়গায় মরে গেছে আমার বুকের উপরে।
বাবা চেতনা হারাচ্ছেন বার বার। জেগে থাকলে দুর্ঘটনার দুঃসহ স্মৃতি মনে করে গুমরিয়ে উঠছেন।
কসবার ভয়াবহতার সাক্ষী এখন রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতাল। বাবার লাশ দাফন করে ফিরতে গিয়ে ৩ ভাই বোনের ঠিকানা হাসপাতালের বিছানা। এখনও জানেন না বাবার পাশে একদিন বাদেই শায়িত হয়েছেন তাদের মাও।
এদিকে আহতদের দেখতে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানালেন আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। কসবা ট্রাজিডির ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জন ভর্তি আছেন রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে।
দুর্ঘটনা এরপর তদন্ত কমিটি তারপর আর্থিক সহায়তা ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায় সব। তবে এসব দুর্ঘটনায় যারা হতাহত হয়েছেন। কিংবা যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের ক্ষত বয়ে বেড়াতে হয় জীবনভর। কিন্তু সে খবর রাখে কে? তাইতো সকলে দাবি সকল পথেই নিশ্চিত করতে হবে নিরাপদ যাত্রা। সূত্র : সময়টিভি অনলাইন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।