নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা আটক

জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নিজের ঔরসজাত মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা মনির হোসেনকে পুলিশ আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, রোববার গভীর রাতে উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মনির হোসেনের বাড়িতে।

এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে স্বামীর বিরুদ্ধে নিজের ঔরসজাত মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মেয়েসহ ফরিদগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে মামলা করেছেন মনির হোসেনের স্ত্রী মুক্তা বেগম। মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগে মনির হোসেনকে আটক করে। উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মনিরকে আটকের পর পুলিশ সোমবার বিকেলে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে।

অপরদিকে, ঘটনার শিকার মেয়েটিকে পুলিশ উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি সম্পন্ন করার জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করেছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে মনির হোসেনের সাথে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মুক্তা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তারা সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করত। মহামারি করোনার কারণে তারা বর্তমানে নিজেদের বাড়িতে অবস্থান করছিল। গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে স্ত্রী মুক্তা বেগম বাড়িতে না থাকার সুযোগে মনির হোসেন ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া তার ঔরসজাত মেয়েকে ধর্ষণ করে।

২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার স্বামীর বিরুদ্ধে নিজের ঔরসজাত মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে স্ত্রী মুক্তা বেগম ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। এর পরই পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগে মনির হোসেনকে উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। পরে পুলিশ মনিরকে সোমবার বিকেলে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে এবং ঘটনার শিকার মেয়েটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ২২ ধারায় জবান বন্দী সম্পন্ন করার জন্য চাঁদপুর প্রেরন করে।

অপরদিকে, আটককৃত মনির হোসেনের আত্মীয় সেলিম হোসেন ও মরিয়ম বেগম জানায়, তার স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় ইতিপূর্বেও তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে দুবার মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে। এ ঘটনাটি সাজানোও হতে পারে।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের ও পিতা মনির হোসেনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।