জুমবাংলা ডেস্ক : বছর ঘুরে আবারও এসেছে মাহে রমজান। পবিত্র এই মাসে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে লুটপাটে ব্যস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা। যেকোনো ধর্মীয় উৎসবে বিশ্বের সব দেশে মূল্য ছাড় চললেও একমাত্র বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এদেশের বেশির ভাগ ব্যবসায়ীর কাছে ধর্মীয় মূল্যবোধ নয়, মুনাফাই মূল উদ্দেশ্য। তবে সরকার কঠোর হলে সমস্যার সমাধান সম্ভব।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতে রোজার আগেই হাজারও পণ্যের দাম কমিয়েছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই খাদ্যপণ্য। আর রোজার অন্যতম অনুসঙ্গ খেজুরের দাম কমিয়েছে ৪০ শতাংশ।
৯ শতাধিক পণ্যের দাম কমিয়েছে কাতার। গেল মঙ্গলবার দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দেয়। পবিত্র রমজান মাসে খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দিতেই নেওয়া হয়েছে এ উদ্যোগ।
বিশ্বের অন্য মুসলিম দেশগুলোর উল্টো চিত্র শুধু বাংলাদেশেই। কমার পরিবর্তে সব পণ্যের দাম বাড়তি। যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের রোজার বাজার অনেকটাই বেসামাল।
ক্রেতারা বলছে, বাজারে সবকিছুর দাম ভয়াবহ। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। রোজায় সব দেশে পণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে শুধু বাড়ে আর বাড়ে। সরকার চেষ্টা করেও সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সিনিয়র গবেষক ড. মাহফুজ কবির বলছেন, ব্যবসায়ীদের মাঝে সামাজিক দায়বদ্ধতা নেই বললেই চলে। তারা সে জায়গায় টাকাও খরচ করে না। তারমধ্যে রমজানে অতিরিক্ত লাভ করে। সেটা থেকেও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, অতিরিক্ত লোভ থেকে দূরে থাকতে আমরা ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করছি। একইসঙ্গে মুক্তবাজার অর্থনীতির অজুহাতে কেউ যেন লাগামহীন মুনাফা করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নিতে সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানান, এবার শুধু সতর্ক বার্তা নয়, রমজানে কারসাজি করলে শাস্তি পেতে হবে।
সরবরাহ ঠিক থাকলেও বাড়তি চাহিদার অজুহাতে প্রতিবছর রমজানের আগে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে ফায়দা লোটে ব্যবসায়ীরা। ধর্মীয় মূল্যবোধ, রাষ্ট্রীয় সংস্থার হুঁশিয়ারি, কোন কিছুই যেন কাজে আসে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।