জুমবাংলা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে উপজেলা খাসের কান্দি গ্রামের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম মঙ্গলবার সকালে দুইশ’ টাকা দিয়ে তরমুজ কেনেন। তাঁর দেখাদেখি একই আকারের তরমুজ কিনতে বিকেলে আসেন আরেক ক্রেতা ফারুক মিয়া। কিন্তু দাম শুনে হতভম্ব হয়ে পড়েন তিনি। সকালে যে তরমুজ ছিল দুইশ’ টাকা বিকেলে সেটাই ছয়শ’ টাকা চেয়ে বসেন বিক্রেতা। এ ঘটনা ঢাকা- বিশনন্দী আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার রামচন্দ্রদী বাসস্ট্যান্ড এলাকার।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কেন তিন গুণ দাম বাড়াল–বিক্রেতা সাগর হোসেনকে একথা জিজ্ঞেস করতেই তাঁর মারমুখী অবস্থানে জটলা সৃষ্টি হয়। ‘নিলে নেন, না নিলে চলে যান’– এভাবেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান বিক্রেতা সাগর। অবশেষে তরমুজ না নিয়েই বাড়ি ফিরতে হয় ফারুককে।
ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি তরমুজের আকার ভেদে ৫শ থেক আটশ’ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হচ্ছে। এতে বাজারে আসা অনেক ক্রেতাই দাম শুনে তরমুজ না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন।
স্থানীরা জানান, হঠাৎ করেই তরমুজের দামে বাজারে যেন আগুন লেগেছে। মঙ্গলবার বিকেলে প্রতি কেজি তরমুজের সর্বনিম্ন দর ৬শ’ টাকা হাঁকা হচ্ছে। এই তরমুজই একই দিন সকালে মাত্র ২শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তরমুজের দাম দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যাওয়ায় ক্রেতারা দিশেহারা। ফলে ক্রেতা–বিক্রেতাদের মধ্যে দফায় দফায় চলছে বাক বিতণ্ডা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহমুদুল হক বলেন, কেউ অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।