গোপাল হালদার, পটুয়াখালী: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে প্রতিদিনই কুয়াকাটায় পর্যটকের আগমন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পর্যটকের পদভারে মুখর হয়ে উঠেছে সমুদ্র সৈকত। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ও শনিবার পর্যটক বেশি আসে। এই দুই দিন তারা আনন্দোৎসবে কাটিয়ে দেন।
আজ (২৬ জানুয়ারি) সারাদিন সৈকতে ছিল বেশ কয়েক হাজার পর্যটকেকর আনাগোনা। এটা পদ্মা সেতুর সুফল-এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত অবলোকনের পর পর্যটকরা ছুটে যান রাখাইনদের আদি কুয়া অথবা রাখাইন পল্লিতে। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন রয়েছে নজরকাড়া প্যাগোডা। এই প্যাগোডা তথা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার সংলগ্ন বেড়িবাঁধের পাশে রয়েছে দু’শ বছরের প্রাচীনতম নৌকা। রাখাইন মহিলা মার্কেট, মিশ্রিপাড়ায় অবস্থিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ সীমা বৈদ্ধ বিহার।
ইকোপার্ক, লেম্বুরচর, শুঁটকিপল্লি, সমুদ্রপথে চর বিজয়, ফকিরহাটসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থান। পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনে প্রস্তুত ছিল টুরিস্ট বোট, স্পিডবোট। কেউ সৈকতে ছাতার নিচে বসে সাগরের জল আর সূর্য রশ্নির রঙ্গিন খেলায় মেতে উঠা অপরূপ দৃশ্য অবলোকন করে।
কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটক সৈয়দ তানভীর বলেন, ‘শীতকালীন সমুদ্র দেখার খুব ইচ্ছে ছিল তাই কুয়াকাটা সৈকতে আসলাম। আমরা পরিবারের মোট ১২ জন সদস্য এসেছি। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখলাম, সমুদ্রে গোসল করলাম এবং বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরলাম। সব মিলিয়ে খুবই সুন্দর সময় কাটালাম কুয়াকাটায়।’
রাজশাহী থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা আলমাস কবীর বলেন, ‘সমুদ্র বাংলাদেশের অনেক জায়গা থেকেই দেখা যায়। তবে কুয়াকাটা থেকে দেখার সাধ একটু আলাদা। কারণ কুয়াকাটা থেকে সূর্য উদয় এবং অস্ত দুটোই দেখা যায়। তাই বার বার সমুদ্রের প্রেমে ছুটে আসি কুয়াকাটায়। কুয়াকাটা খুবই সুন্দর এবং ভালো লাগার মতো জায়গা।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।