আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম : হিরো আলমের উপর হামলার প্রতিবাদে জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন দূতাবাস বিবৃতি দিয়েছে তীব্র নিন্দা করে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছে। যে কোন হামলা অবশ্যই নিন্দনীয়। তবে দেখতে হবে হামলাকারীদের প্রতি সরকারের আচরণ কি? আমরা দেখেছি ন্যূনতম সময়ের মধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। হিরো আলম আলোচিত হলেও প্রার্থী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। নির্বাচনকে হাস্যস্পদে পরিণত করার জন্য তার মতো লোককে এখানে প্রার্থী করানো হয়েছে। অথবা ইস্যু তৈরি করার জন্য। বিবৃতিগুলি দেখে মনে হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য অনেকটা সফল। নির্বাচনের শেষ সময়ে তার উপর হামলা করে আওয়ামী লীগের কোন কিছু অর্জন করার ছিল না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে নির্বাচনে দাঁড় করানো, হামলা এবং বিবৃতিগুলি একই সূত্রে গাঁথা।
২০১৪’র নির্বাচনের পর এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে যে দেশে সবাই আওয়ামী লীগ। এমপি, মেয়র এমনকি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও চরম এন্টি আওয়ামী লীগাররা অবস্থান করে নিয়েছে। তাই নিচের দিকের অবস্থা আরও ভয়াবহ। তাই নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এ হামলার বিষয়ও যথাযথ তদন্তের দাবি রাখে। তাছারা তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধীদের গ্রেফতারের পরও কূটনৈতিক শিষ্টাচার বর্জিত এ ধরনের বিবৃতি ১৯৬১ সালে ভিয়েনা কনভেনশনে সম্পাদিত চুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা দেখা প্রয়োজন। যদি তার বরখেলাপ হয় তাহলে স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।