জুমবাংলা ডেস্ক: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। তবে সেই সরকার নির্বাচিত হতে হবে। জনগণ যদি মনে করে আমার ভোটে সরকার গঠন হয়েছে, তাকেই বলা যায় নির্বাচিত সরকার।’
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভায় জি এম কাদের এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন ডেমোক্রেসির পরিবর্তে আওয়ামীক্রেসি চলছে। যেখানে গভর্নমেন্ট অব দ্য আওয়ামী লীগ, গভর্নমেন্ট বাই দ্য আওয়ামী লীগ এবং গভর্নমেন্ট ফর দ্য আওয়ামী লীগ। এটা কখনও ডেমোক্রেসি হতে পারে না।’
বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদেরের দাবি, ‘১৯৮২ সালে এরশাদ ক্ষমতা দখল করেননি। রাষ্ট্রপতির আহ্বানে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। এরশাদ জনকল্যাণে কাজ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে বলেছিলেন চিরস্থায়ীভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই। এখন সংবিধানের দোহাই দিয়ে সরকারের অধীনে নির্বাচন চান। সরকার যদি নির্বাচন কমিশনসহ সব কিছু প্রভাবিত করতে পারে, তাকে সমর্থন করা যায় না।’
পুলিশ ও প্রশাসনের সমালোচনা করে জি এম কাদের আরও বলেন, ‘কিছু কর্মকর্তা আগ বাড়িয়ে বলেন- আমরা আওয়ামী পরিবার। ছাত্রলীগ-যুবলীগ করেছি। তারা আওয়ামী লীগের সভায় যায়, স্লোগান দেয়, আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলে। এরা বেনামে আওয়ামী লীগ।’
সরকার ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি করলেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, লুটপাটের জন্য মেগা প্রকল্প করা হচ্ছে।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, গুলশান-বনানী-বারিধারার পয়োঃবর্জ্য পরিশোধনে দাশেরকান্দিতে শোধনাগার করা হয়েছেন তিন হাজার ৭০০ টাকায়। ৮০ ভাগই চীনের ঋণ। শোধনাগার চালাতে বছরে ২২৫ কোটি টাকা খরচ হবে। ২০২৯ সাল থেকে চীনকে ঋণের কিস্তি দিতে হবে ২০০ কোটি টাকার বেশি। অথচ বর্জ্য আনার লাইন এখনো তৈরি হয়নি। লাইন তৈরি করতে শোধনাগারের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাবে।
আলোচনা সভায় জাপার সিনিয়ার কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।